ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যেতে ভারতের অনুমতি লাগে: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৯ বার পঠিত

জোনায়েদ সাকি। ফাইল ছবি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে যেতে ভারতের অনুমতি লাগে। এটা কি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ?শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ক্ষমতার বিনিময়ে ভারতকে কী কী বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে- প্রশ্ন রেখে সাকি বলেন, ভারতের জোরেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। দেশটির তাঁবেদারি করছে সরকার। গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন- ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন এটা নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনো দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে। এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট সমঝোতা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রেখেছে সরকার। রেল করিডোর সমঝোতা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ট্রেনে নিত্যপণ্য নাকি অস্ত্র পরিবহণ করবে ভারত, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এই সরকারের সঙ্গে কোনো আপস হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারকে আমরা কোনো অনুমোদন দেব না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদের পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনো থামাথামি নেই, আপস নেই।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীন এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনো আপস করবে না। আমরা কোনো বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পথ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সভায় বক্তারা বলেন, গলায় গামছা বেঁধে সরকারকে বিদায় দিতে হবে। তিস্তা প্রকল্পে ভারতকে যুক্ত করা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির প্রমাণ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাই- সরকারি মদদেই বিদেশি ঋণের টাকা লুট চলছে আর সেই ঋণ শোধ করছে জনগণ।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যেতে ভারতের অনুমতি লাগে: জোনায়েদ সাকি

আপডেট সময় : ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে যেতে ভারতের অনুমতি লাগে। এটা কি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ?শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ক্ষমতার বিনিময়ে ভারতকে কী কী বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে- প্রশ্ন রেখে সাকি বলেন, ভারতের জোরেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। দেশটির তাঁবেদারি করছে সরকার। গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন- ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন এটা নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনো দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে। এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট সমঝোতা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রেখেছে সরকার। রেল করিডোর সমঝোতা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ট্রেনে নিত্যপণ্য নাকি অস্ত্র পরিবহণ করবে ভারত, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এই সরকারের সঙ্গে কোনো আপস হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারকে আমরা কোনো অনুমোদন দেব না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদের পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনো থামাথামি নেই, আপস নেই।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীন এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনো আপস করবে না। আমরা কোনো বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পথ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সভায় বক্তারা বলেন, গলায় গামছা বেঁধে সরকারকে বিদায় দিতে হবে। তিস্তা প্রকল্পে ভারতকে যুক্ত করা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির প্রমাণ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাই- সরকারি মদদেই বিদেশি ঋণের টাকা লুট চলছে আর সেই ঋণ শোধ করছে জনগণ।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।

Facebook Comments Box