ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনার মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান-ধর্মঘট

পাবনা প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪ বার পঠিত

সরকার পতনের পর পালিয়ে থাকা পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানকে অপসারণ ও নিয়মবহির্ভূত উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে লাগাতার অবস্থান ও ধর্মঘটন কর্মসূছি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবি করে নানা শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি- গত ১২ বছর ধরে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। তার পদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালীদের প্রভাবে তা তোয়াক্কাই করতেন না। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। বিগত আওয়ামী সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। কলেজের ৫০ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। অনেক নির্যাতন সহ্য করে আসছি। এখন আর এসব সহ্য করার সময় নেই।

শিক্ষকরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পাবনার সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন কলেজে এসে শিক্ষকদের হুমক-ধামকি দেন। তারা হুমকি দেন যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ তাদের লোক, যত যাই করুক তাকে এখান থেকে সড়ানো যাবে না। এটা রাজনৈতিক পোস্ট। এটা নিয়ে কোন শিক্ষক বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগের এসব নেতারা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন কোন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া দিয়ে কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক। অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন।

আজকে বেশ কয়েকদিন ধরে কলেজের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য খুবই দু:খজনক। আমরা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেড়াও করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক মাখসুদা আক্তার খুশি, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মোকাদ্দেশ আলী, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ করিম, শামসুল আলম, নাছিমা খাতুন, আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক -২, নজরুল ইসলাম, একেএম আফজাল হোসেনসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।

এবিষয়ে মুঠোফোনে পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পাবনার মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান-ধর্মঘট

আপডেট সময় : ০৫:০০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকার পতনের পর পালিয়ে থাকা পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানকে অপসারণ ও নিয়মবহির্ভূত উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে লাগাতার অবস্থান ও ধর্মঘটন কর্মসূছি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবি করে নানা শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি- গত ১২ বছর ধরে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। তার পদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালীদের প্রভাবে তা তোয়াক্কাই করতেন না। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। বিগত আওয়ামী সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। কলেজের ৫০ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। অনেক নির্যাতন সহ্য করে আসছি। এখন আর এসব সহ্য করার সময় নেই।

শিক্ষকরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পাবনার সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন কলেজে এসে শিক্ষকদের হুমক-ধামকি দেন। তারা হুমকি দেন যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ তাদের লোক, যত যাই করুক তাকে এখান থেকে সড়ানো যাবে না। এটা রাজনৈতিক পোস্ট। এটা নিয়ে কোন শিক্ষক বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগের এসব নেতারা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন কোন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া দিয়ে কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক। অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন।

আজকে বেশ কয়েকদিন ধরে কলেজের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য খুবই দু:খজনক। আমরা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেড়াও করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক মাখসুদা আক্তার খুশি, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মোকাদ্দেশ আলী, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ করিম, শামসুল আলম, নাছিমা খাতুন, আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক -২, নজরুল ইসলাম, একেএম আফজাল হোসেনসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।

এবিষয়ে মুঠোফোনে পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments Box