ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পানির মাছ পানিতে, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগে

সারাবেলা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৭১ বার পঠিত

সংসদ সদস্যদের ভোটে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের বিধান থাকলেও সমঝোতার ভিত্তিতেই তা নির্ধারিত হয়ে আসছে

এবার সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় কি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দেখা যেতে পারে? সেই হিসেবে তারা সংরক্ষিত নারী আসনেও নিজেদের ‘হিস্যা’ চাইতে পারেন?
দলীয় আনুগত্য, সাংবিধানিক অধিকার এবং ‘পানির মাছ পানিতেই স্বচ্ছন্দ’- এই তিন কারণে সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন তারা৷

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকতে চান৷ তারা চান আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হতে৷ রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে তাদের এই ‘মনের কথা: তুলে ধরবেন তারা৷

সংরক্ষিত নারী আসনের ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷

৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মধ্যে দুই-একজন এই চিন্তার বাইরে আছেন৷ তারা অবশ্য আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন৷ এরকম সংসদ সদস্য আছেন তিন জন৷ তারা হলেন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান সুখন৷ তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন৷ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়৷ সিলেট-৫ আসনের মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলি৷ তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন৷ আর লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত৷ তিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন৷

সিলেট-৫ আসনের নির্দলীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলি বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছেন, অবশই যাবো৷ তার কথা শুনবো তিনি কী বলেন৷ আমার দিক থেকে কোনো কথা বলার নেই৷ তবে আমি তো আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না৷ তাই স্বতন্ত্রই থাকতে চাই৷ স্বতন্ত্র থাকাই ভালো মনে করছি৷”

স্বতন্ত্রদের কোটায় সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে কোনো চিন্তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘‘এটা নিয়ে আমাদের স্বতন্ত্রদের  মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি ৷ আর প্রকৃত অর্থে স্বতন্ত্র তো মাত্র তিন জন৷ আমরা কী পাবো? বাকি সবাই তো আওয়ামী লীগ৷”

‘আমরা আওয়ামী লীগ’
টাঙ্গাইল-৫ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন৷ তিনি একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও এবার মনোনয়ন না পেয়ে ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন৷ তার কথা, “আমাদের কোথায় রাখবেন সে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দেবেন৷ আমরা তো আওয়ামী লীগের পদে আছি৷ মনোনয়ন পাইনি, কিন্তু তার অনুমতি নিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি৷ এখন আমরা সবাই দলেই ফিরতে চাই৷ আমরা আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে থাকতে চাই৷”

তিনি বলেন, “নির্বাচনকে সফল করতে ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমরা সহযোগিতা করেছি৷ তার রাজনৈতিক চিন্তা অসাধারণ৷ তিনিই আমাদের আস্থার জায়গা৷”

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র হিসেবে পাস করেছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগেই থাককে চান, কারো ভিন্ন চিন্তা আছে বলে তার জানা নেই৷

বরিশাল-৪ আসনে  স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পংকজ নাথ বলেন, “আমরা তো আওয়ামী লীগের অনুমোদিত স্বতন্ত্র৷ আমি নিজে চাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে থাকতে৷ আমার মতো আর সবাইও তাই চায়৷ ৬২ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র তো আসলে তিন জন৷ বাকি সবাই তো আওয়ামী লীগ৷ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা ভালো মনে করেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো৷

‘পানির মাছ পানিতেই থাকতে চাই’

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপিরা কয়েকটি কারণে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সঙ্গে থাকতে চান৷ প্রথমত, তারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হলেও তাদের মধ্যে মাত্র দুই জনের দলের কোনো পদ নেই৷ বাকিদের সবাই থানা,জেলা বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন৷ ওই দুইজন আওয়ামী পরিবারের হলেও দলের পদে নেই৷

তারা হলেন পিরোজপুর-৩ আসনে জয়ী শামীম শাহনেওয়াজ৷ তার ভাই মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছিলেন৷ জাতীয় পার্টিকে আসন ছাড়ায় নৌকা হারান৷ শামীম শাহনেওয়াজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি হয়েছেন৷ আর জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার কারণে গাইবান্ধা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আফরোজা বারী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় তার মেয়ে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন৷ আফরোজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি৷ নাহিদ নিগারের দলে কোনো পদ নেই৷

যারা পদ আছেন, তারা স্বতন্ত্র এমপি হওয়ার পর দলে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে এখন আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে থাকতে চান৷ তা না হলে স্থানীয় রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন৷ আর আওয়ামী লীগের এমপি হলে বরাদ্দ, এলাকার উন্নয়ন, প্রভাব- এইসব বিষয়ে এগিয়ে থাকবেন৷ এছাড়া সামনে যদি মন্ত্রিসভার আকার বড় হয়, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সরকারের বিভিন্ন ব্যাংক, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানসহ নানা সুযোগ এখনো অপেক্ষা করছে৷ ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র’রা এসব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবেই থাকতে চান৷

মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসাম্মাত তাহমিনা বেগমের কথা, “আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আওয়ামী লীগেই থাকতে চাই৷ এটাই প্রধানমন্ত্রীকে রবিবার বলবো৷ বিশেষ কারণে জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র হয়েছি৷ জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি করেছে৷”

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “যদি আওয়ামী লীগে না নেয় তাহলে স্বতন্ত্র থাকবো৷ বিরোধী দলে যাবো না৷ কেউ যেতে চাইলে তারা যাক, আমি যেতে পারি না৷”

এদিকে ঢাকা-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে জেতা আওয়ামী লীগ নেতা ড. আওলাদ হোসেন বলেন, “আমি হলাম আপদমস্তক আওয়ামী লীগ৷ কিসের স্বতন্ত্র? আমি তো আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে যেতে চাই৷ আমি পানির মাছ পানিতে থাকতে চাই৷ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছি৷”  ডয়চে ভেলে
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পানির মাছ পানিতে, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
এবার সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় কি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দেখা যেতে পারে? সেই হিসেবে তারা সংরক্ষিত নারী আসনেও নিজেদের ‘হিস্যা’ চাইতে পারেন?
দলীয় আনুগত্য, সাংবিধানিক অধিকার এবং ‘পানির মাছ পানিতেই স্বচ্ছন্দ’- এই তিন কারণে সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন তারা৷

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকতে চান৷ তারা চান আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হতে৷ রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে তাদের এই ‘মনের কথা: তুলে ধরবেন তারা৷

সংরক্ষিত নারী আসনের ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷

৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মধ্যে দুই-একজন এই চিন্তার বাইরে আছেন৷ তারা অবশ্য আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন৷ এরকম সংসদ সদস্য আছেন তিন জন৷ তারা হলেন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান সুখন৷ তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন৷ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়৷ সিলেট-৫ আসনের মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলি৷ তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন৷ আর লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত৷ তিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন৷

সিলেট-৫ আসনের নির্দলীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলি বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছেন, অবশই যাবো৷ তার কথা শুনবো তিনি কী বলেন৷ আমার দিক থেকে কোনো কথা বলার নেই৷ তবে আমি তো আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না৷ তাই স্বতন্ত্রই থাকতে চাই৷ স্বতন্ত্র থাকাই ভালো মনে করছি৷”

স্বতন্ত্রদের কোটায় সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে কোনো চিন্তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘‘এটা নিয়ে আমাদের স্বতন্ত্রদের  মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি ৷ আর প্রকৃত অর্থে স্বতন্ত্র তো মাত্র তিন জন৷ আমরা কী পাবো? বাকি সবাই তো আওয়ামী লীগ৷”

‘আমরা আওয়ামী লীগ’
টাঙ্গাইল-৫ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন৷ তিনি একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও এবার মনোনয়ন না পেয়ে ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন৷ তার কথা, “আমাদের কোথায় রাখবেন সে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দেবেন৷ আমরা তো আওয়ামী লীগের পদে আছি৷ মনোনয়ন পাইনি, কিন্তু তার অনুমতি নিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি৷ এখন আমরা সবাই দলেই ফিরতে চাই৷ আমরা আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে থাকতে চাই৷”

তিনি বলেন, “নির্বাচনকে সফল করতে ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমরা সহযোগিতা করেছি৷ তার রাজনৈতিক চিন্তা অসাধারণ৷ তিনিই আমাদের আস্থার জায়গা৷”

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র হিসেবে পাস করেছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগেই থাককে চান, কারো ভিন্ন চিন্তা আছে বলে তার জানা নেই৷

বরিশাল-৪ আসনে  স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পংকজ নাথ বলেন, “আমরা তো আওয়ামী লীগের অনুমোদিত স্বতন্ত্র৷ আমি নিজে চাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে থাকতে৷ আমার মতো আর সবাইও তাই চায়৷ ৬২ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র তো আসলে তিন জন৷ বাকি সবাই তো আওয়ামী লীগ৷ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা ভালো মনে করেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো৷

‘পানির মাছ পানিতেই থাকতে চাই’

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপিরা কয়েকটি কারণে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সঙ্গে থাকতে চান৷ প্রথমত, তারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হলেও তাদের মধ্যে মাত্র দুই জনের দলের কোনো পদ নেই৷ বাকিদের সবাই থানা,জেলা বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন৷ ওই দুইজন আওয়ামী পরিবারের হলেও দলের পদে নেই৷

তারা হলেন পিরোজপুর-৩ আসনে জয়ী শামীম শাহনেওয়াজ৷ তার ভাই মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছিলেন৷ জাতীয় পার্টিকে আসন ছাড়ায় নৌকা হারান৷ শামীম শাহনেওয়াজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি হয়েছেন৷ আর জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার কারণে গাইবান্ধা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আফরোজা বারী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় তার মেয়ে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন৷ আফরোজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি৷ নাহিদ নিগারের দলে কোনো পদ নেই৷

যারা পদ আছেন, তারা স্বতন্ত্র এমপি হওয়ার পর দলে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে এখন আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে থাকতে চান৷ তা না হলে স্থানীয় রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন৷ আর আওয়ামী লীগের এমপি হলে বরাদ্দ, এলাকার উন্নয়ন, প্রভাব- এইসব বিষয়ে এগিয়ে থাকবেন৷ এছাড়া সামনে যদি মন্ত্রিসভার আকার বড় হয়, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সরকারের বিভিন্ন ব্যাংক, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানসহ নানা সুযোগ এখনো অপেক্ষা করছে৷ ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র’রা এসব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবেই থাকতে চান৷

মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসাম্মাত তাহমিনা বেগমের কথা, “আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আওয়ামী লীগেই থাকতে চাই৷ এটাই প্রধানমন্ত্রীকে রবিবার বলবো৷ বিশেষ কারণে জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র হয়েছি৷ জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি করেছে৷”

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “যদি আওয়ামী লীগে না নেয় তাহলে স্বতন্ত্র থাকবো৷ বিরোধী দলে যাবো না৷ কেউ যেতে চাইলে তারা যাক, আমি যেতে পারি না৷”

এদিকে ঢাকা-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে জেতা আওয়ামী লীগ নেতা ড. আওলাদ হোসেন বলেন, “আমি হলাম আপদমস্তক আওয়ামী লীগ৷ কিসের স্বতন্ত্র? আমি তো আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে যেতে চাই৷ আমি পানির মাছ পানিতে থাকতে চাই৷ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছি৷”  ডয়চে ভেলে
Facebook Comments Box