ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন: প্রধানমন্ত্রীকে সালাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ১০ বার পঠিত

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা বলা নেই। নতুন শিল্প কলকারখানার কথা নেই। আজকে শিক্ষিত বেকাররা বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী)  পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তাহলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। মুক্তি পাবে গণতন্ত্র, আর মানুষ ফিরে পাবে বাক-স্বাধীনতা।

সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-৬ আসনের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আব্দুস সালাম বলেন, এ সরকার সিন্ডিকেটের সরকার। সব কালোবাজারি ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকের গভর্নর কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী? আসলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই গভর্নর তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার তুলনা দেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে আপস করেন না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে আপস করে নির্বাচনে কে গিয়েছিল, ১/১১ তে ফখরুদ্দিন সরকারের সঙ্গে কে আপস করেছিলেন? তখন যদি খালেদা জিয়া আপস করতেন, তাহলে আপনি (শেখ হাসিনা) নন, খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হতেন। চলমান আন্দোলনেও অনেকবার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ’৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আপস করেছিলেন জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা মুকিতুল আহসান রঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, রওনাকুল ইসলাম টিপু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, মহানগর দক্ষিণের নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন: প্রধানমন্ত্রীকে সালাম

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা বলা নেই। নতুন শিল্প কলকারখানার কথা নেই। আজকে শিক্ষিত বেকাররা বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী)  পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তাহলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। মুক্তি পাবে গণতন্ত্র, আর মানুষ ফিরে পাবে বাক-স্বাধীনতা।

সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-৬ আসনের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আব্দুস সালাম বলেন, এ সরকার সিন্ডিকেটের সরকার। সব কালোবাজারি ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকের গভর্নর কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী? আসলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই গভর্নর তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার তুলনা দেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে আপস করেন না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে আপস করে নির্বাচনে কে গিয়েছিল, ১/১১ তে ফখরুদ্দিন সরকারের সঙ্গে কে আপস করেছিলেন? তখন যদি খালেদা জিয়া আপস করতেন, তাহলে আপনি (শেখ হাসিনা) নন, খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হতেন। চলমান আন্দোলনেও অনেকবার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ’৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আপস করেছিলেন জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা মুকিতুল আহসান রঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, রওনাকুল ইসলাম টিপু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, মহানগর দক্ষিণের নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ।

Facebook Comments Box