নৌকায় সিল মেরে ব্যালটশূন্য বাক্স পূর্ণ !
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১০৭ বার পঠিত
নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়া ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে পাশের খালি বাক্স পূর্ণ করছেন কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসাইন
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসাইনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন (৭ জানুয়ারি) আগে থেকেই নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়া ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে পাশের খালি বাক্স পূর্ণ করছিলেন তিনি।
এ সময় নুর হোসেনের গলায় পরিহিত ছিল কক্সবাজার-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহীন আক্তারের ব্যাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভোট কক্ষে। এই কেন্দ্রে ভোটার ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার এবং ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ ।
যেখানে ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহীন আক্তার পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ ভোট, তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের প্রাপ্ত ভোট ৬২৪।
এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
ছবিটি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তার দায়িত্ব পালন করা কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং এ ছবির ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টেকনাফে ৪৮.২১ শতাংশ ভোট পড়েছে, ভোট গ্রহণের সময় কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি এবং সুষ্ঠুভাবেই ভোট হয়েছে।
ছবিটি প্রসঙ্গে নুর হোসাইনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
আলোচিত সংসদীয় আসনটি থেকে ৯০ হাজার ৩৭৩ ভোটের ব্যবধানে জিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহীন আক্তার। এই নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১০৪ কেন্দ্রে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭০৭ ভোট।
যদিও ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট পূর্বে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বশর জানান, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি পুনঃনির্বাচনের দাবি করেন।