ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নীলফামারী-৪ আসনে দ্বিমুখী লড়াইের সম্ভাবনা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০৮ বার পঠিত

অগ্রহায়নের কুয়াশা ভরা কনকনে শীত উপেক্ষা করে চলছে নির্বাচনী প্রচারনা। ১৮ ডিসেম্বর মার্কা দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় প্রচার প্ররাচনা।নির্বাচনী প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে নীলফামারী ৪ আসনের রাস্তাঘাট, শহরও গ্রাম সর্বত্রই। খুলি বৈঠকে ব্যস্ত প্রার্থীরা। রাস্তা ঘাটের ফুটপাত, পাড়াগ্রামের ঝুপড়ি ঘর বা চায়ের দোকানে আলোচনা চলছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কোন দল জয়ী হবে। ৭ জানুয়ারী কোন প্রার্থীকে ভোট দিলে এই আসনের উন্নয়ন হতে পারে।
স্হানীয় নির্বাচক বিশ্লেষণদের মতে,নীলফামারী -৪ আসনে সংসদ সদস্য পদে ৩ জন অংশ নিয়েছেন। এরা হলেন, আহসান আদেলুর রহমান (লাংগল), মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক) ও বিশিষ্ট শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (কাঁচি) । এর মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সৈয়দপুর – কিশোরগন্জ উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৪ আসন।গিঞ্জি শহর ও অবাংগালী অধ্যষিত সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩ টি।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ২৬৮ টি।আর নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৫ টি।
এ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী,, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের জয়ের সম্ভাবনা শতভাগ বলে দাবী ভোটারদের।
ভোটারদের মতে, নীলফামারী – ৪ আসনে আওয়ামী লীগ মানেই মোখছেদুল মোমিন। গত একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে এ আসনটি জোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করেন আহসান আদেলুর রহমান আদেল।শুধুমাত্র মোখছেদুল মোমিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে ভুলেই গিয়েছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের উন্নয়নের কথা। যার ফলে এবারে মোখছেদুল মোমিন নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।এ আসনের সর্বস্তরের জনগণ মোখছেদুল মোমিনকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন।
তবে সৈয়দপুরের ভোটাররা বলছেন, ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হলো জাতীয় পার্টির বলিষ্ঠ নেতা, শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক। তিনি ২০২০ সালে সৈয়দপুর পৌর পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২ ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পান। কিন্তু তার বৃদ্ধা মাকে ভোট দিতে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ায় সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে আসেন। এরপরেও সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জ এলাকার মানুষের বিপদে আপদে কাছে থেকেছেন, শীত বস্ত্র সহ অর্থ দিয়েছেন হাজার হাজার গরীব অসহায়দের।
ভোটাররা আরো বলেন,আওয়ামী লীগ তাদের দলের প্রার্থী না দেয়ার কারনে গত সংসদ সদস্য নির্বাচনে এ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন।কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করা হয় নি। খোঁজ খবরই রাখেন নি গরীব অসহায় মানুষের। সেখানে শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক দলের নেতা কর্মী সহ সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রতিনিয়ত। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সিদ্দিকুল আলমকে কেউই ঠেকাতে পারবে না বলে জানান তারা।
সিদ্দিকুল আলম বলেন,জনগনের মুল্যবান দিয়ে যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত করেন তাহলে সরকারের দেয়া বরাদ্দের একটি পয়সা ও নিজ স্বার্থে খরচ করবো না। বরাদ্দের টাকা দিয়ে নীলফামারী-৪ আসনকে দেশের একটি মডেল হিসেবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মোখছেদুল মোমিন বলেন,জনগনের ভালোবাসায় তিনি ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।জনগন এমপি নির্বাচিত করলে প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
জনগনের ভালোবাসা ও ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহসান আদেলুর রহমান আদেল এবিষয়ে কথা বলবেন না বলে সাফ জানায় দেন।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নীলফামারী-৪ আসনে দ্বিমুখী লড়াইের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

অগ্রহায়নের কুয়াশা ভরা কনকনে শীত উপেক্ষা করে চলছে নির্বাচনী প্রচারনা। ১৮ ডিসেম্বর মার্কা দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় প্রচার প্ররাচনা।নির্বাচনী প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে নীলফামারী ৪ আসনের রাস্তাঘাট, শহরও গ্রাম সর্বত্রই। খুলি বৈঠকে ব্যস্ত প্রার্থীরা। রাস্তা ঘাটের ফুটপাত, পাড়াগ্রামের ঝুপড়ি ঘর বা চায়ের দোকানে আলোচনা চলছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কোন দল জয়ী হবে। ৭ জানুয়ারী কোন প্রার্থীকে ভোট দিলে এই আসনের উন্নয়ন হতে পারে।
স্হানীয় নির্বাচক বিশ্লেষণদের মতে,নীলফামারী -৪ আসনে সংসদ সদস্য পদে ৩ জন অংশ নিয়েছেন। এরা হলেন, আহসান আদেলুর রহমান (লাংগল), মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক) ও বিশিষ্ট শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (কাঁচি) । এর মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সৈয়দপুর – কিশোরগন্জ উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৪ আসন।গিঞ্জি শহর ও অবাংগালী অধ্যষিত সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩ টি।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ২৬৮ টি।আর নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৫ টি।
এ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী,, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের জয়ের সম্ভাবনা শতভাগ বলে দাবী ভোটারদের।
ভোটারদের মতে, নীলফামারী – ৪ আসনে আওয়ামী লীগ মানেই মোখছেদুল মোমিন। গত একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে এ আসনটি জোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করেন আহসান আদেলুর রহমান আদেল।শুধুমাত্র মোখছেদুল মোমিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে ভুলেই গিয়েছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের উন্নয়নের কথা। যার ফলে এবারে মোখছেদুল মোমিন নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।এ আসনের সর্বস্তরের জনগণ মোখছেদুল মোমিনকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন।
তবে সৈয়দপুরের ভোটাররা বলছেন, ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হলো জাতীয় পার্টির বলিষ্ঠ নেতা, শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক। তিনি ২০২০ সালে সৈয়দপুর পৌর পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২ ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পান। কিন্তু তার বৃদ্ধা মাকে ভোট দিতে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ায় সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে আসেন। এরপরেও সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জ এলাকার মানুষের বিপদে আপদে কাছে থেকেছেন, শীত বস্ত্র সহ অর্থ দিয়েছেন হাজার হাজার গরীব অসহায়দের।
ভোটাররা আরো বলেন,আওয়ামী লীগ তাদের দলের প্রার্থী না দেয়ার কারনে গত সংসদ সদস্য নির্বাচনে এ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন।কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করা হয় নি। খোঁজ খবরই রাখেন নি গরীব অসহায় মানুষের। সেখানে শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক দলের নেতা কর্মী সহ সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রতিনিয়ত। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সিদ্দিকুল আলমকে কেউই ঠেকাতে পারবে না বলে জানান তারা।
সিদ্দিকুল আলম বলেন,জনগনের মুল্যবান দিয়ে যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত করেন তাহলে সরকারের দেয়া বরাদ্দের একটি পয়সা ও নিজ স্বার্থে খরচ করবো না। বরাদ্দের টাকা দিয়ে নীলফামারী-৪ আসনকে দেশের একটি মডেল হিসেবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মোখছেদুল মোমিন বলেন,জনগনের ভালোবাসায় তিনি ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।জনগন এমপি নির্বাচিত করলে প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
জনগনের ভালোবাসা ও ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহসান আদেলুর রহমান আদেল এবিষয়ে কথা বলবেন না বলে সাফ জানায় দেন।

 

Facebook Comments Box