ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠে থাকবেন ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ৬০ বার পঠিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  মঙ্গলবার থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন ।ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২৩ নভেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ১৫টি পর্যন্ত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।

ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

এ হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ ও পৌরসভা পর্যায়ে ২১০ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, খুলনায় ৬ জন, গাজীপুরে ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে মোট ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) উল্লিখিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।

তাছাড়া প্রত্যেক জেলায় ডিসির অধীনে এক বা দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসাবে নিয়োজিত রাখতে হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগ থেকে ভোট গ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে বলে ওই সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হবে।

মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েক দিন আগ থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনি এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব  আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি উপজেলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠে থাকবেন ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  মঙ্গলবার থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন ।ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২৩ নভেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ১৫টি পর্যন্ত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।

ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

এ হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ ও পৌরসভা পর্যায়ে ২১০ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, খুলনায় ৬ জন, গাজীপুরে ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে মোট ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) উল্লিখিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।

তাছাড়া প্রত্যেক জেলায় ডিসির অধীনে এক বা দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসাবে নিয়োজিত রাখতে হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগ থেকে ভোট গ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে বলে ওই সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হবে।

মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েক দিন আগ থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনি এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব  আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি উপজেলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

Facebook Comments Box