ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

নিয়োগ নিয়ে উত্তাল ইবি

ইবি প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১৬ বার পঠিত

উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মনসহ ইবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ

সম্প্রতি নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের অডিও ভাইরালসহ নানা দুর্নীতির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ সকল কারণে নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের একাংশ ও কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ছিল। এর আগে ১২টি দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মকর্তারা। পরে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তাদের ১২ টি দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান।


এরই মাঝে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখতে উপাচার্যের কাছে দাবি তুলেন। এ সময় উপাচার্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে বাগ্‌বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘দালাল, দুর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও এময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়োগ বোর্ড চলমান রেখে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান।
উপাচার্য নিজে শিক্ষকদের হেনস্তা করার জন্য  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ডেকে এনেছিল বলে দাবি করেন অবস্থানরত শিক্ষকরা। তবে উপাচার্য এটি অস্বীকার করে বলেন, আমি এর সঙ্গে কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন ছাত্রলীগের প্রবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের এভাবে প্রবেশ করা উচিত হয়নি।

এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কর্তৃপক্ষ যাদের যোগ্য মনে করবে তাদের নিয়োগ দিবে। এখানে ছাত্রলীগের কোন বিষয় নেই। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাক। উপাচার্যের কার্যালয়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে যারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের সাবেক নেতাকর্মী। তারা দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে দিন মজুর হিসেবে কাজ করছে। এখন তারা যদি নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়ে আন্দোলন করে তাহলে এখানে ছাত্রলীগের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন ঘটনা। আমি বিষয়টি তে মর্মাহত। আমি মনে করি যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যে মান মর্যাদা সেটি নষ্ট করেছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একাংশ অবস্থান করছে। তাদের মতামত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নিয়োগ নিয়ে উত্তাল ইবি

আপডেট সময় : ১১:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের অডিও ভাইরালসহ নানা দুর্নীতির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ সকল কারণে নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের একাংশ ও কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ছিল। এর আগে ১২টি দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মকর্তারা। পরে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তাদের ১২ টি দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান।


এরই মাঝে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখতে উপাচার্যের কাছে দাবি তুলেন। এ সময় উপাচার্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে বাগ্‌বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘দালাল, দুর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও এময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়োগ বোর্ড চলমান রেখে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান।
উপাচার্য নিজে শিক্ষকদের হেনস্তা করার জন্য  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ডেকে এনেছিল বলে দাবি করেন অবস্থানরত শিক্ষকরা। তবে উপাচার্য এটি অস্বীকার করে বলেন, আমি এর সঙ্গে কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন ছাত্রলীগের প্রবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের এভাবে প্রবেশ করা উচিত হয়নি।

এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কর্তৃপক্ষ যাদের যোগ্য মনে করবে তাদের নিয়োগ দিবে। এখানে ছাত্রলীগের কোন বিষয় নেই। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাক। উপাচার্যের কার্যালয়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে যারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের সাবেক নেতাকর্মী। তারা দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে দিন মজুর হিসেবে কাজ করছে। এখন তারা যদি নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়ে আন্দোলন করে তাহলে এখানে ছাত্রলীগের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন ঘটনা। আমি বিষয়টি তে মর্মাহত। আমি মনে করি যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যে মান মর্যাদা সেটি নষ্ট করেছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একাংশ অবস্থান করছে। তাদের মতামত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না।
Facebook Comments Box