ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে হামুন : কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু

সারাবেলা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৪ বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজারে গাছপালা উপড়ে যায়

উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি গাছপালা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। উপকূল অতিক্রম শেষ করে এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগের আরও ভেতরে এগিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরেও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে তিন নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, দেশের অন্য এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু : ঝড়ের কবলে পড়ে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের বাড়ি সদর ও মহেশখালী উপজেলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। শহরের সমিতি পাড়ায় অসংখ্য বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শহরের পাহাড়তলীতে দেয়ালচাপায় আব্দুল খালেক নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মহেশখালীতে মাটিচাপা পড়ে হারাধন নামে আরেকজন মারা গেছেন।

এছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে আজগর আলী নামে একজন গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে তীব্র ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় কোনো ক্ষতির খবর এখনো তিনি পাননি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষতির ব্যাপারে তারা খোঁজ-খবর করছেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার সামসুদ্দোজা।

ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার শহর ও আশেপাশের এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২৫ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে হামুন : কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:৩০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি গাছপালা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। উপকূল অতিক্রম শেষ করে এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগের আরও ভেতরে এগিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরেও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে তিন নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, দেশের অন্য এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু : ঝড়ের কবলে পড়ে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের বাড়ি সদর ও মহেশখালী উপজেলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। শহরের সমিতি পাড়ায় অসংখ্য বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শহরের পাহাড়তলীতে দেয়ালচাপায় আব্দুল খালেক নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মহেশখালীতে মাটিচাপা পড়ে হারাধন নামে আরেকজন মারা গেছেন।

এছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে আজগর আলী নামে একজন গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে তীব্র ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় কোনো ক্ষতির খবর এখনো তিনি পাননি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষতির ব্যাপারে তারা খোঁজ-খবর করছেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার সামসুদ্দোজা।

ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার শহর ও আশেপাশের এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২৫ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box