ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানে ভূমিকম্প:ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে শতাধিক মানুষ

সারাবেলার সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে শতাধিক মানুষ। চলছে উদ্ধারকাজ। এ পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত এক হাজারের বেশি। কিংশুই টানেলে আটকে পড়া ৭৭ জনকে উদ্ধারে রাতভর চলে অভিযান। রাজধানী তাইপেসহ অন্যান্য এলাকায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাজ করছে জরুরি বিভাগের সদস্যরা।

বুধবার, দ্বীপরাষ্ট্রটির পূর্ব উপকূলে স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে অনুভূত হয় ৭ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন। গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। হুয়ালিন থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পানির নিচে ছিল কেন্দ্র। ভূমিধসও হয় অঞ্চলটির কয়েকটি এলাকায়। জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশি জাপান ও চীনেও। ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর সুনামি হয় জাপানের একটি দ্বীপে। প্রাথমিকভাবে, তাইওয়ান-ফিলিপাইন-জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও; প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তাইওয়ান থেকে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর মানুষ যেসব সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছেন সেগুলো সুহুয়া মহাসড়কে অবস্থিত। তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বেশ বিপদসংকুল। ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত সড়কের কয়েকটি সুড়ঙ্গে মানুষ আটকা পড়তে পারেন। সম্ভবত দুটি সুড়ঙ্গে আটকে পড়তে পারেন পর্যটকরা। তাদের অবস্থা এখনো অজানা।

ঘটনার পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ভবনকে হেলে যেতে দেখা গেছে এসব ছবিতে। অনেক জায়গার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় যা পরে তুলে নেয়া হয়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

তাইওয়ানে ভূমিকম্প:ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে শতাধিক মানুষ

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে শতাধিক মানুষ। চলছে উদ্ধারকাজ। এ পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত এক হাজারের বেশি। কিংশুই টানেলে আটকে পড়া ৭৭ জনকে উদ্ধারে রাতভর চলে অভিযান। রাজধানী তাইপেসহ অন্যান্য এলাকায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাজ করছে জরুরি বিভাগের সদস্যরা।

বুধবার, দ্বীপরাষ্ট্রটির পূর্ব উপকূলে স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে অনুভূত হয় ৭ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন। গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। হুয়ালিন থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পানির নিচে ছিল কেন্দ্র। ভূমিধসও হয় অঞ্চলটির কয়েকটি এলাকায়। জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশি জাপান ও চীনেও। ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর সুনামি হয় জাপানের একটি দ্বীপে। প্রাথমিকভাবে, তাইওয়ান-ফিলিপাইন-জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও; প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তাইওয়ান থেকে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর মানুষ যেসব সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছেন সেগুলো সুহুয়া মহাসড়কে অবস্থিত। তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বেশ বিপদসংকুল। ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত সড়কের কয়েকটি সুড়ঙ্গে মানুষ আটকা পড়তে পারেন। সম্ভবত দুটি সুড়ঙ্গে আটকে পড়তে পারেন পর্যটকরা। তাদের অবস্থা এখনো অজানা।

ঘটনার পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ভবনকে হেলে যেতে দেখা গেছে এসব ছবিতে। অনেক জায়গার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় যা পরে তুলে নেয়া হয়।

Facebook Comments Box