ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢামেকে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৮ বার পঠিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহত ছাত্রদের জন্য বিশেষায়িত ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও, হাসপাতালের কেবিন সংস্কার, আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই সাথে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা, দালাল ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতাল থেকে নিষিদ্ধ করা এবং প্যাথলজিকাল টেস্ট ও এক্স-রে বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিচালক আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালটি এখন পর্যন্ত ২৬১৩ জন আহত রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে ৮২৯ জন ভর্তি হয়েছেন। তিনি জানান, প্রথমদিকে ছড়া বুলেটের আঘাতে আহত রোগী আসলেও পরবর্তীতে সরাসরি বুলেটের আঘাতে আহত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রায় ১০০ রোগী ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, চলমান চিকিৎসা কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের মেজর ও মাইনর সার্জারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চক্ষু, থোরাসিক, নিউরোলজি, নাক-কান-গলা, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক্স এবং নিউরো সার্জারি বিভাগের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজিবি হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কয়েকজন রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এসময় হাসপাতালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢামেকে ২৭টি নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি ভবন হবে ১৭ তলা এবং বাকিগুলো হবে ২০ তলা। হাসপাতালের ডিজিটাল টিকিটিং, প্রেসক্রিপশন সিস্টেম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করছে এবং সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিলে পূর্ববর্তী আহতদের চিকিৎসা খরচও ফেরত দেয়া হবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঢামেকে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহত ছাত্রদের জন্য বিশেষায়িত ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও, হাসপাতালের কেবিন সংস্কার, আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই সাথে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা, দালাল ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতাল থেকে নিষিদ্ধ করা এবং প্যাথলজিকাল টেস্ট ও এক্স-রে বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিচালক আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালটি এখন পর্যন্ত ২৬১৩ জন আহত রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে ৮২৯ জন ভর্তি হয়েছেন। তিনি জানান, প্রথমদিকে ছড়া বুলেটের আঘাতে আহত রোগী আসলেও পরবর্তীতে সরাসরি বুলেটের আঘাতে আহত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে প্রায় ১০০ রোগী ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, চলমান চিকিৎসা কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের মেজর ও মাইনর সার্জারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চক্ষু, থোরাসিক, নিউরোলজি, নাক-কান-গলা, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক্স এবং নিউরো সার্জারি বিভাগের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজিবি হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কয়েকজন রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এসময় হাসপাতালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢামেকে ২৭টি নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি ভবন হবে ১৭ তলা এবং বাকিগুলো হবে ২০ তলা। হাসপাতালের ডিজিটাল টিকিটিং, প্রেসক্রিপশন সিস্টেম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করছে এবং সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিলে পূর্ববর্তী আহতদের চিকিৎসা খরচও ফেরত দেয়া হবে।

Facebook Comments Box