ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ। এতে কোটা আন্দোলকারী সাধারণ শিক্ষার্থী, সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) মাঠ থেকে কোটা আন্দোলনকারী বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তায় গেলে অপরদিকে অবস্থান নেওয়া জেলার সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েক জন আহত হন।

পরে আবার কোটা আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হয় ও কোটা সমন্বয় করার জন্য স্লোগান দেন। সেখান থেকে তারা আবার একটি মিছিল বের করে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চৌরাস্তার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেন। তখন তারা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। এ সময় তারা হঠাৎ পুলিশের বাধা অতিক্রম করে সামনে এগুতে থাকলে অপরদিক থেকে আবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

পুলিশ দুই গ্রুপকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা শান্ত না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই গ্রুপের ছোড়া ইটপাটকেলে কোটা আন্দোলনকারী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রসহ অন্যান্য কলেজ ও বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ জন ছাত্র আহত হন। এছাড়াও মেয়ে শিক্ষার্থী ১১ জন, দুজন সাংবাদিক, দুজন পুলিশের মধ্যে একজন সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

এছাড়াও জেলার সাবেক ছাত্রলীগের অন্তত ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।পরে আবার কোটা আন্দোলনকারী বালক উচ্চ বিদ্যায়ের সামনে কাঠ খড় জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে। এতে শহরজুড়ে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছেন।