ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ট্রান্সফর্মার চুরি : ১৫ দিনেও হয়নি মামলা

সারাবেলা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩ ৪৩ বার পঠিত

পাবনাঃ পাবনার সাঁথিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে ট্্রান্সফরমারের গরম তেলে ঝলছে গেছে আব্দুর রহমান নামে এক চোরের শরীর । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ আগস্ট রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারের পাশে ঘটনার দুই সপ্তাহের অধিক সময় পার হলেও হয়নি কোন মামলা, গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি। অভিযুক্ত আহত আব্দুর রহমান বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া জগন্নাথপুরের আঃ রাজ্জাকের ছেলে। আব্দুর রহমান এর শ্বশুর মুন্নাফ মন্ডলের বাড়ি সাঁথিয়ার ভবানিপুর সরকারপাড়া গ্রামে।

অভিযোগে জানাগেছে, আব্দুর রহমান নামে এক চোর তার ২জন সহযোগী নিয়ে গোপিনাথপুর সাইদুল ইসলাম নামের এক কৃষকের সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ট্রান্সফরমারের গরম তেলে চোরের শরীর ঝলসে যায়। এ সময় আরো ২ চোর বিদুৎ এর খুঁটির নিচে থাকায় তাদের শরীরে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

আরও জানা গেছে, ওই আহত ব্যক্তিকে গোপনে চোরচক্র প্রথমে বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আহত রোগীকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট এই মর্মে সাতানির চরের মৃত ইউসুফ প্রাং এর ছেলে মো: সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে ট্রান্সফরমার এর নিচে মাঠের মধ্যে (ঘটনাস্থলে) দুই জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে। আহত আব্দুর রহমানকে রাতেই একটি ভ্যান রিক্সাযোগে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে ভ্যানে গরম তেলে ঝলসে যাওয়া আব্দুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকেও সনাক্ত করা গেছে।

অপরদিকে চুরি প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত আরও দুইজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো ভবানীপুর সরকারপাড়ার সংলগ্ন গোপীনাথপুর উত্তর পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে আকরাম হোসেন ও আবু হানিফের ছেলে ফজু।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুর রহমান পেশাদার চোর। সে কিছু দিন আগেও ভবানীপুর কাশু মন্ডলের বাড়ির পাশে থাকা ট্রান্সফর্মার চুরি করার সময় লোকজন টের পাওয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের তৎপরতা রহস্যজনক। ঘটনার দুই সপ্তাহের বেশী সময় পার হলেও হয়নি কোন মামলা। গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি ।

সারাবেলার সংবাদ/ এম কেজেড/ ২৭ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ট্রান্সফর্মার চুরি : ১৫ দিনেও হয়নি মামলা

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

পাবনাঃ পাবনার সাঁথিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে ট্্রান্সফরমারের গরম তেলে ঝলছে গেছে আব্দুর রহমান নামে এক চোরের শরীর । ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ আগস্ট রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারের পাশে ঘটনার দুই সপ্তাহের অধিক সময় পার হলেও হয়নি কোন মামলা, গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি। অভিযুক্ত আহত আব্দুর রহমান বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া জগন্নাথপুরের আঃ রাজ্জাকের ছেলে। আব্দুর রহমান এর শ্বশুর মুন্নাফ মন্ডলের বাড়ি সাঁথিয়ার ভবানিপুর সরকারপাড়া গ্রামে।

অভিযোগে জানাগেছে, আব্দুর রহমান নামে এক চোর তার ২জন সহযোগী নিয়ে গোপিনাথপুর সাইদুল ইসলাম নামের এক কৃষকের সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ট্রান্সফরমারের গরম তেলে চোরের শরীর ঝলসে যায়। এ সময় আরো ২ চোর বিদুৎ এর খুঁটির নিচে থাকায় তাদের শরীরে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

আরও জানা গেছে, ওই আহত ব্যক্তিকে গোপনে চোরচক্র প্রথমে বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আহত রোগীকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট এই মর্মে সাতানির চরের মৃত ইউসুফ প্রাং এর ছেলে মো: সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে ট্রান্সফরমার এর নিচে মাঠের মধ্যে (ঘটনাস্থলে) দুই জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে। আহত আব্দুর রহমানকে রাতেই একটি ভ্যান রিক্সাযোগে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে ভ্যানে গরম তেলে ঝলসে যাওয়া আব্দুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকেও সনাক্ত করা গেছে।

অপরদিকে চুরি প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত আরও দুইজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো ভবানীপুর সরকারপাড়ার সংলগ্ন গোপীনাথপুর উত্তর পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে আকরাম হোসেন ও আবু হানিফের ছেলে ফজু।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুর রহমান পেশাদার চোর। সে কিছু দিন আগেও ভবানীপুর কাশু মন্ডলের বাড়ির পাশে থাকা ট্রান্সফর্মার চুরি করার সময় লোকজন টের পাওয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের তৎপরতা রহস্যজনক। ঘটনার দুই সপ্তাহের বেশী সময় পার হলেও হয়নি কোন মামলা। গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি ।

সারাবেলার সংবাদ/ এম কেজেড/ ২৭ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box