ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

চরাঞ্চলে ভালো ফলন হওয়ায় বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ ; চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৪ বার পঠিত

নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা উত্তরাঞ্চলে

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন চরাঞ্চলে বাড়ছে কৃষির আবাদ। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে যমুনার চরে বিভিন্ন কৃষি আবাদে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এখন সবুজের সমারোহ, জমিগুলো আসছে চাষের আওতায়। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠের পরিচর্যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, একসময়ের প্রমত্তা যমুনার ভাঙ্গন কবলিত চরাঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদামের আবাদ হচ্ছে। বারির উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।

তিস্তার বিস্তৃত চারণভূমিও এখন আবাদযোগ্য জমি। চরগুলোতে এখন নানা জাতের ফসল আবাদ করে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চাষাবাদের সঙ্গে বাড়ছে সাবলম্বী পরিবারের সংখ্যাও।

চরের হাজারো কৃষকের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। তিস্তার বিভিন্ন চরে আলু, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, শশা ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের পরিচর্যা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেসব ফসল একটু আগাম রোপণ করা হয়েছে, এখন সেগুলো তোলা হচ্ছে বাজারে। আবার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরাসরি চরেও আসছেন কিছু কিছু পাইকার। এখানে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে। খরস্রোত নদীর চরের এখন সব দিকটাই সবুজপ্রান্তর। এই মৌসুমে উত্তরের চরগুলোতে বেড়েছে চাষাবাদ।

নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা উত্তরাঞ্চলে। এ অঞ্চলের চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’।

শুধু ফসল উৎপাদনেই থেমে নেই চরাঞ্চলের কৃষকরা। বছরে ২৫ লাখ গবাদিপশুর যোগানও দিচ্ছেন তারা। তবে আকস্মিক বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সময়ই তাদের হোঁচট খেতে হয়। চরের জমিতে চাষাবাদে প্রধান সমস্যা সেচ ব্যবস্থা। সমস্যা সমাধানে চরে গভীর কূপ খনন, সোলার পাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। চলতি মৌসুমে এ এলাকায় ৪৯ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি চাষে খরচ হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব বাদাম চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বারি সরেজমিন গবেষনা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল হেলিম খান। চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত এসব জমিগুলো চাষের আওতায় আনা হলে  আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

চরাঞ্চলে ভালো ফলন হওয়ায় বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ ; চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন চরাঞ্চলে বাড়ছে কৃষির আবাদ। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে যমুনার চরে বিভিন্ন কৃষি আবাদে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এখন সবুজের সমারোহ, জমিগুলো আসছে চাষের আওতায়। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠের পরিচর্যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, একসময়ের প্রমত্তা যমুনার ভাঙ্গন কবলিত চরাঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদামের আবাদ হচ্ছে। বারির উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।

তিস্তার বিস্তৃত চারণভূমিও এখন আবাদযোগ্য জমি। চরগুলোতে এখন নানা জাতের ফসল আবাদ করে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চাষাবাদের সঙ্গে বাড়ছে সাবলম্বী পরিবারের সংখ্যাও।

চরের হাজারো কৃষকের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। তিস্তার বিভিন্ন চরে আলু, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, শশা ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের পরিচর্যা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেসব ফসল একটু আগাম রোপণ করা হয়েছে, এখন সেগুলো তোলা হচ্ছে বাজারে। আবার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরাসরি চরেও আসছেন কিছু কিছু পাইকার। এখানে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে। খরস্রোত নদীর চরের এখন সব দিকটাই সবুজপ্রান্তর। এই মৌসুমে উত্তরের চরগুলোতে বেড়েছে চাষাবাদ।

নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা উত্তরাঞ্চলে। এ অঞ্চলের চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’।

শুধু ফসল উৎপাদনেই থেমে নেই চরাঞ্চলের কৃষকরা। বছরে ২৫ লাখ গবাদিপশুর যোগানও দিচ্ছেন তারা। তবে আকস্মিক বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সময়ই তাদের হোঁচট খেতে হয়। চরের জমিতে চাষাবাদে প্রধান সমস্যা সেচ ব্যবস্থা। সমস্যা সমাধানে চরে গভীর কূপ খনন, সোলার পাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। চলতি মৌসুমে এ এলাকায় ৪৯ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি চাষে খরচ হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব বাদাম চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বারি সরেজমিন গবেষনা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল হেলিম খান। চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত এসব জমিগুলো চাষের আওতায় আনা হলে  আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।

Facebook Comments Box