ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৬ বার পঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের ছাত্রী।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এরপরই চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে থিসিস করছেন।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, “একটি মেয়ে আমাদের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, “থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক—যেমন; জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তাঁর রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।”

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, “এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এভাবে কেন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমি জানি না।”

এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগটির একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের ছাত্রী।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এরপরই চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে থিসিস করছেন।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, “একটি মেয়ে আমাদের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, “থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক—যেমন; জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তাঁর রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।”

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, “এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এভাবে কেন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমি জানি না।”

এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগটির একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেন।

Facebook Comments Box