ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই আসতে পারে মহাবিপদ সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ১২ বার পঠিত

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারত, চীন ও জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 মহিববুর রহমান আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত আছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে তিন নম্বর সংকেতে চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে চার নম্বরের ওপরে এবং রাতের বেলা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।

কয়টি জেলা আক্রান্ত হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকায় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে, পায়রা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি দক্ষিণে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই আসতে পারে মহাবিপদ সংকেত

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারত, চীন ও জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 মহিববুর রহমান আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত আছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে তিন নম্বর সংকেতে চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে চার নম্বরের ওপরে এবং রাতের বেলা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।

কয়টি জেলা আক্রান্ত হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকায় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে, পায়রা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি দক্ষিণে।

Facebook Comments Box