ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৯ বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, রিমালের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে, সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
আজ রাতের মধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।
বরগুনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আজ শনিবার অন্তত তিন ফুট বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় নদীর তীরের বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই বরগুনায় গোমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। কালো মেঘে ঢেকে গেছে বরগুনার আকাশ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা।
বরগুনার বড়ইতলা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল। দুপুর ২টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে স্থানীয়রা জানান । এখানে আশ্রয়কেন্দ্রের স্বল্পতা রয়েছে, যা আছে তাতে সবার স্থান সংকুলান হয় না বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান বেড়িবাঁধের অবস্থা একেবারে নাজুক। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তাই স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে বরগুনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভার মাধ্যমে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে’

আপডেট সময় : ০৩:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, রিমালের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে, সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
আজ রাতের মধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।
বরগুনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আজ শনিবার অন্তত তিন ফুট বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় নদীর তীরের বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই বরগুনায় গোমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। কালো মেঘে ঢেকে গেছে বরগুনার আকাশ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা।
বরগুনার বড়ইতলা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল। দুপুর ২টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে স্থানীয়রা জানান । এখানে আশ্রয়কেন্দ্রের স্বল্পতা রয়েছে, যা আছে তাতে সবার স্থান সংকুলান হয় না বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান বেড়িবাঁধের অবস্থা একেবারে নাজুক। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তাই স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে বরগুনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভার মাধ্যমে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।

Facebook Comments Box