ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোটা ট্রেনটাই অবকাশ যাপনের হোটেল

ফিচার ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ৫১ বার পঠিত

যাতায়াতের জন্য ট্রেনের চেয়ে আরামদায়ক বাহন খুব বেশি নেই। ট্রেন ব্যবহৃত হয় যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে। অন্যদিকে হোটেলে আমরা সাধারণত রাত্রিযাপন করি। তবে বিশ্বে এমন এক হোটেল রয়েছে যা একইসঙ্গে ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপনের সেবা দেয়। অর্থাৎ পুরো ট্রেনটাই হোটেল!

এমন এক আশ্চর্য হোটেলের দেখা মিলবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। আফ্রিকার মুজাম্বিক সীমান্তে অবস্থিত অন্যতম বিখ্যাত পার্ক ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক। দারুণ জনপ্রিয় এই পার্ক! এই পার্ক দেখতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় লেগেই থাকে।

এই পার্কের ভেতর রয়েছে বিশাল অরণ্য। বয়ে চলেছে নদী। নদী আগের মতো না থাকলেও এর বুকের উপর রয়েছে সেতু। নদী থেকে যার উচ্চতা ১০০ ফুট। রেললাইনের সর্বশেষ স্টপেজ হলো এই সেতু।

মজার ব্যাপার হলো সেলাটি থেকে ক্রুগার রুটে চলাচল করা একটিমাত্র ট্রেন হোটেল হিসেবেও সেবা দেয়। এক সময় এই অঞ্চল বিখ্যাত ছিল স্বর্ণের জন্য। ফলে শ্রমিক ও সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ১৮৯২ সালে বানানো হয় রেলপথ।

১৯১২ সালে স্বর্ণ খনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। অরণ্যঘেরা অঞ্চল হওয়ায় এখানে যাত্রী চলাচল ছিল না। এরপর ১৯২৬ সালে জাতীয় অরণ্যের খ্যাতি অর্জন করে ক্রুগার বনাঞ্চল। পর্যটক আর্কষণ করতে সত্তরের দশকে এই ব্রিজ নতুন করে কাজে লাগায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন। এরপর চালু হয় বিশ্বের প্রথম ট্রেন হোটেল। যে ট্রেনের মাধ্যমে সেলাটি থেকে যাত্রা শুরু করে ক্রুগার গিয়ে সেই ট্রেনেই কয়েকদিন থেকে আবার ফিরতে পারবেন সেলাটিতে।

এই ট্রেনটিতে থাকার জন্য রয়েছে ২৪টি বিলাসবহুল রুম। অর্থাৎ ট্রেনের কামড়া বা বগিগুলো রুমে রুপান্তরিত করা হয়েছে। ব্রিজের উপরে ট্রেন থেকেই অবলোকন করা যায় অরণ্যের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! রুমগুলোর মধ্যে রয়েছে লাক্সারিস কার্লগ রুম।

এক রাতের জন্য খরচ করতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ১১ হাজার টাকা। ব্রিজ হাউজ গার্ডেনে থাকতে হলে খরচ হবে ৮৮ হাজার টাকা। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ চাইলে অনলাইনে বুক করতে পারবেন যে কোনো রুম। এ জন্য যেতে হবে https://www.krugershalati.com ওয়েবসাইটে।

সারাবেলার সংবাদ/ জেডআরসি/ ২৮ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

গোটা ট্রেনটাই অবকাশ যাপনের হোটেল

আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

যাতায়াতের জন্য ট্রেনের চেয়ে আরামদায়ক বাহন খুব বেশি নেই। ট্রেন ব্যবহৃত হয় যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে। অন্যদিকে হোটেলে আমরা সাধারণত রাত্রিযাপন করি। তবে বিশ্বে এমন এক হোটেল রয়েছে যা একইসঙ্গে ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপনের সেবা দেয়। অর্থাৎ পুরো ট্রেনটাই হোটেল!

এমন এক আশ্চর্য হোটেলের দেখা মিলবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। আফ্রিকার মুজাম্বিক সীমান্তে অবস্থিত অন্যতম বিখ্যাত পার্ক ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক। দারুণ জনপ্রিয় এই পার্ক! এই পার্ক দেখতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় লেগেই থাকে।

এই পার্কের ভেতর রয়েছে বিশাল অরণ্য। বয়ে চলেছে নদী। নদী আগের মতো না থাকলেও এর বুকের উপর রয়েছে সেতু। নদী থেকে যার উচ্চতা ১০০ ফুট। রেললাইনের সর্বশেষ স্টপেজ হলো এই সেতু।

মজার ব্যাপার হলো সেলাটি থেকে ক্রুগার রুটে চলাচল করা একটিমাত্র ট্রেন হোটেল হিসেবেও সেবা দেয়। এক সময় এই অঞ্চল বিখ্যাত ছিল স্বর্ণের জন্য। ফলে শ্রমিক ও সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ১৮৯২ সালে বানানো হয় রেলপথ।

১৯১২ সালে স্বর্ণ খনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। অরণ্যঘেরা অঞ্চল হওয়ায় এখানে যাত্রী চলাচল ছিল না। এরপর ১৯২৬ সালে জাতীয় অরণ্যের খ্যাতি অর্জন করে ক্রুগার বনাঞ্চল। পর্যটক আর্কষণ করতে সত্তরের দশকে এই ব্রিজ নতুন করে কাজে লাগায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন। এরপর চালু হয় বিশ্বের প্রথম ট্রেন হোটেল। যে ট্রেনের মাধ্যমে সেলাটি থেকে যাত্রা শুরু করে ক্রুগার গিয়ে সেই ট্রেনেই কয়েকদিন থেকে আবার ফিরতে পারবেন সেলাটিতে।

এই ট্রেনটিতে থাকার জন্য রয়েছে ২৪টি বিলাসবহুল রুম। অর্থাৎ ট্রেনের কামড়া বা বগিগুলো রুমে রুপান্তরিত করা হয়েছে। ব্রিজের উপরে ট্রেন থেকেই অবলোকন করা যায় অরণ্যের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! রুমগুলোর মধ্যে রয়েছে লাক্সারিস কার্লগ রুম।

এক রাতের জন্য খরচ করতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ১১ হাজার টাকা। ব্রিজ হাউজ গার্ডেনে থাকতে হলে খরচ হবে ৮৮ হাজার টাকা। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ চাইলে অনলাইনে বুক করতে পারবেন যে কোনো রুম। এ জন্য যেতে হবে https://www.krugershalati.com ওয়েবসাইটে।

সারাবেলার সংবাদ/ জেডআরসি/ ২৮ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box