ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে সর্বত্র, সড়কে যান চলাচল ব্যাহত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬০ বার পঠিত
কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে কুয়াশা আর শীত তীব্র ভাবে জেকে বসেছে গ্রাম থেকে শহর।কুয়াশায় স্থবির হয়ে গেছে চারদিক।  সোমবার ১১ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সৈয়দপুর, নীলফামারী,রংপুর ও দিনাজপুর মহাসড়ক ও আলুক্ষেত গুলোতে।কুয়াশায় দুর্ঘটনার ভয়ে চালকরা যানবাহন চালাচ্ছেন ধীরগতিতে। একই সাথে আলুচাষিরা তাদের ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
১১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টা থেকে কুয়াশার কারনে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে। খেটে খাওয়া মানুষজন, দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে অটোরিকশা বা সিএনজিতে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছে ইপিজেড শ্রমিকরা।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসা নাবিল পরিবহন এর চালক মজনু বলেন,ঘন কুয়াশার কারনে ১০/১২ ফুট সামনের কিছুই দেখা যায় না। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে সৈয়দপুরে এসেছি।
পার্বতীপুর ও বদরগন্জ থেকে মাছ নিয়ে আসা দুই পিক-আপ চালক জানান, আমরা প্রতিদিন ভোর ৫ টার মধ্যে মাছ নিয়ে আসি সৈয়দপুরে।কিন্তু হঠাৎ ঘন কুয়াশার কারনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ঘন্টায় ১৫/২০ কিলোমিটার পথ ও যাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে সৈয়দপুর শহরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ঘনকুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। যার ফলে সব যানবাহনই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সব পরিবহন চালককে সাবধানে ও ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ একর জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছি। গাছও হয়েছে ভালো কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুর দিকে হালকা বৃষ্টিতে আলুর গাছ তলিয়ে যায়। একদিন পর পানি সুকিয়ে গেলেও দুদিনের ঘন কুয়াশায় আলুর ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এনিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় এর সাথে, তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ১৩৮০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এযাবৎ ১১৪৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জমির আলুর গাছও হয়েছে ভালো। কিন্তু ঘনকুয়াশা দীর্ঘায়িত হলে আলুর ফলনে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে সর্বত্র, সড়কে যান চলাচল ব্যাহত

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে কুয়াশা আর শীত তীব্র ভাবে জেকে বসেছে গ্রাম থেকে শহর।কুয়াশায় স্থবির হয়ে গেছে চারদিক।  সোমবার ১১ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সৈয়দপুর, নীলফামারী,রংপুর ও দিনাজপুর মহাসড়ক ও আলুক্ষেত গুলোতে।কুয়াশায় দুর্ঘটনার ভয়ে চালকরা যানবাহন চালাচ্ছেন ধীরগতিতে। একই সাথে আলুচাষিরা তাদের ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
১১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টা থেকে কুয়াশার কারনে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে। খেটে খাওয়া মানুষজন, দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে অটোরিকশা বা সিএনজিতে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছে ইপিজেড শ্রমিকরা।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসা নাবিল পরিবহন এর চালক মজনু বলেন,ঘন কুয়াশার কারনে ১০/১২ ফুট সামনের কিছুই দেখা যায় না। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে সৈয়দপুরে এসেছি।
পার্বতীপুর ও বদরগন্জ থেকে মাছ নিয়ে আসা দুই পিক-আপ চালক জানান, আমরা প্রতিদিন ভোর ৫ টার মধ্যে মাছ নিয়ে আসি সৈয়দপুরে।কিন্তু হঠাৎ ঘন কুয়াশার কারনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ঘন্টায় ১৫/২০ কিলোমিটার পথ ও যাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে সৈয়দপুর শহরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ঘনকুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। যার ফলে সব যানবাহনই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সব পরিবহন চালককে সাবধানে ও ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ একর জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছি। গাছও হয়েছে ভালো কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুর দিকে হালকা বৃষ্টিতে আলুর গাছ তলিয়ে যায়। একদিন পর পানি সুকিয়ে গেলেও দুদিনের ঘন কুয়াশায় আলুর ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এনিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় এর সাথে, তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ১৩৮০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এযাবৎ ১১৪৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জমির আলুর গাছও হয়েছে ভালো। কিন্তু ঘনকুয়াশা দীর্ঘায়িত হলে আলুর ফলনে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।
Facebook Comments Box