ঘর আর কর্মক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় করা নারীদের জন্য এমনিতেই বড় চ্যালেঞ্জ ৷ কর্মজীবী মায়েদের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরো কঠিন৷
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার সাত কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার এখন নানা কাজে নিয়োজিত৷ তার মধ্যে নারী দুই কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার৷ ২০২২ সালের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে৷ ওই বছর কর্মক্ষেত্রে নারী ছিলেন দুই কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার৷ এই তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর৷ বাংলাদেশে এখন মোট সরকারি চাকরিজীবী ১৫ লাখ৷ তারমধ্যে ২৯ ভাগ নারী৷
কর্মজীবী মায়েরা বলেছেন, অনেক নারী মা হওয়ার পর চাকরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন৷ এর কারণ প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতা৷ ঠিক মতো মেটার্নিটি লিভ না দেয়া, পর্যাপ্ত ডে কেয়ার সেন্টার না থাকা৷ আর নিম্নবিত্ত কর্মজীবী নারীরা তো অনেক সুবিধাই পান না৷ আবার কর্মজীবী নারী মা হলে তাকে কৌশলে চাকরি থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ আছে৷
কাজী শবনম সংসার ও বাচ্চাদের যত্ন নিতে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন প্রায় সাত বছর আগে৷ থাকেন ঢাকার জিগাতলায়৷ এখন তিনি তার চারটি অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করেন৷ আছে নিজের ফ্যাক্টরি৷ সেখানে পোশাক ও নানা পণ্য তৈরি হয়৷ দুই সন্তানের মা তিনি৷ সন্তানদের নিয়েই তার সংসার৷ এই পরিবারের অর্থনৈতিক দিকও তিনি দেখেন৷ দেশে তার পরিবারের সদস্যদের আর কেউ খাকেন না৷ তাই সরাসরি সহায়তা করার কেউ নেই৷ ঘরে-বাইরে সব তিনি একাই সামলান৷
তার দুই ছেলে৷ ছোট ছেলের বয়স ১২ আর বড় ছেলের ১৫ বছর৷ এফসিএস শবনম সাত বছর আগে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন৷ তার আগে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন৷ তার বাচ্চারা তখন ছোটো৷
"আমার বস ছিলেন একজন বিদেশি অধ্যাপক৷ বাংলাদেশে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডে কেয়ার সেন্টার পাওয়া যায় না৷ পাঁচটার সময় দরজা বন্ধ করে দেয়৷ তিনি এটা বুঝতেন৷ তাই তিনি আমাকে বিকেল চারটার মধ্যে ছুটি দিতেন৷ কর্পোরেট চাকরিতে সন্ধ্যায়- এমনকি রাতেও কাজ করতে হয়৷ কিন্তু ওই বিদেশি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে চলে যান৷ ফলে ওই সুবিধা আমি আর পেলাম না৷ উনি চলে যাবেন, সেটা যখন জানতে পারি তখনই চাকরি ছাড়ার প্রস্তুতি নিই৷ বাচ্চাদের জন্যই তাই তখন আমাকে চাকরিটা ছেড়ে দিতে হয়৷”
তিনি চাকরি করার চিন্তাই একেবারে বাদ দেন, কারণ, বাংলাদেশে ঘণ্টা হিসেবে কেউ চাকরি দেবে না৷ তারপর সাহস নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন৷ তিনি বলেন," ব্যবসা শুরুর পর বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে কাজে যেতাম৷ দুপুরে এসে ওদের স্কুল থেকে পিক করে ওদের নিয়েই ফ্যাক্টরিতে চলে যেতাম ৷ সেখানেই ওরা খেতো ৷ ঘুমিয়ে পড়তো৷ রাতে আমার সঙ্গে বাসায় ফিরতো৷ এভাবেই আমার দিন কেটেছে৷ এখন ব্যবসা বড় হয়েছে , ওরাও বড় হয়েছে৷”
"তবে এভাবে সবাই টিকতে পারেন না৷ অনেক নারীকেই সন্তানের জন্য, পরিবারের জন্য চাকরি ছেড়ে দিতে হয় বা যোগ্যতা থাকার পরও তারা চাকরি করতে পারেন না,” বলেন এই নারী পেশাজীবী৷ তিনি বলেন, "এখানে অসহযোগিতাও আছে৷ আমার পরিচিত অনেক নারী, যারা মাতৃত্বকালীন ছুটির পর আর চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি৷ তাদের জায়গায় অন্য লোক নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান৷ এখানে সরকারের মনিটরিং ও আইন থাকা দরকার৷ ” তারপরও প্রবল মানসিক শক্তি থাকতে হবে, সেটা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷
[caption id="attachment_18194" align="aligncenter" width="300"] সন্তানধারণের পর নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক কর্মজীবী নারীই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন[/caption]
তার অভিজ্ঞতা হলো, কর্মজীবী মায়ের সন্তানরা অনেক আত্মনির্ভরশীল হয়৷ তারা বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারে৷ তিনি বলেন, "আমি বাসায় ফিরতে দেরি করলে আমার দুই ছেলে এখন নিজেরাই খাবার তৈরি করে খায়৷ কিছুদিন আগে আমি অসুস্থ হলে ওরাই আমার যত্ন নিয়েছে৷ আমাকে খাবার তৈরি করে খাইয়েছে৷”
সন্তানকে বাসায় তালাবদ্ধ রেখে কাজে যান সাভারের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর নদী আক্তার৷ তার যেখানে বাসা, সেখান থেকে কারখানায় তিনি হেঁটেই যাওয়া-আসা করেন৷ তার সাত বছর বয়সের একটি মেয়ে আছে৷ স্কুলে পড়ে৷ স্বামী ঢাকায় কাজ করেন৷ সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার) তিনি সাভারে যান৷
তিনি বলেন, "সকালে আমি আমার মেয়েকে স্কুলে দিয়ে কারখানায় চলে যাই৷ দুপুরে এক ঘণ্টা খাবার বিরতি পাই৷ তখন মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় আসি৷ তারপর তাকে খাইয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে আবার কারখানায় যাই৷ এছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেইা৷ কারখানায় ডে কেয়ার সেন্টার আছে৷ তবে সেখানে চার বছর বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের রাখার সুযোগ আছে৷”
"এই শুক্রবারেও আমাকে ওভার টাইম করতে হচ্ছে৷ আবার কোনো কোনো দিন আমাকে রাতেও ওভারটাইম করতে হয়৷ তখনো আমার মেয়েটি তালাবদ্ধ ঘরে একা থাকে৷ ফোন করে খোঁজ নেয়ারও সুযোগ নাই,” বলেন এই পোশাক কর্মী৷
তার দিন শুরু হয় ভোরে৷ আর সারাদিন চলে জীবনযুদ্ধ৷ সন্তানকে দেখভাল করা, বাজার করা, রান্না, আয় সবই তার কাজ৷ স্বামী থাকেন সপ্তাহে একদিন৷ তার কথা,"সকালে রান্না দিয়ে শুরু, মেয়েকে স্কুলের জন্য তৈরি করা৷ তারপর তাকে নিয়ে ছোটা৷ কারখানায় যাওয়া সকাল আটটার পর পাঁচ মিনিট দেরি হলে কারখানার গেট বন্ধ হয়ে যায়৷ রাতে ফিরে আবার রান্না, মেয়েকে পড়া দেখানো৷ রাত ১২ টার আগে ঘুমাতে পারি না৷ মনে হয় যন্ত্রের মতো চলি৷ কোনো অবসর নেই, বিনোদন নেই৷ শরীরেও নানা রোগ এই প্রচণ্ড খাটুনির কারণে৷” এর মাঝেই তিনি স্বপ্ন দেখেন তার মেয়েকে নিয়ে, স্বপ্ন দেখেন মেয়ে একদিন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে৷
গৃহকর্মী শাফিয়া বেগমের গল্পটি আলাদা৷ তিনি ‘সিঙ্গেল মাদার'৷ স্বামী থাকলেও তার সঙ্গে থাকেন না বহুদিন৷ দুই ছেলে-মেয়ের বড়টি ছেলে৷ রিকশা চালায়৷ আর মেয়েটি স্কুলে পড়ে৷ তিনি বাসায় কাজ করার পাশাশি সকালে ও সন্ধ্যায় কলাবাগানে রাস্তার ধারে পিঠা বিক্রি করেন৷
"আমি ১২ বছর বয়স থেকে বাসার কাজ করা শুরু করি৷ দুই সন্তান হওয়ার পর স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যায়, আরেকটি বিয়ে করে৷ তারপর এই দুই সন্তানকে আমিই বড় করি৷ ছেলেটিকে আমার মায়ের কাছে রেখে আর মেয়েটিকে বোনের কাছে রেখে কাজে যেতাম৷”
"এটাই আমার জীবন ৷ আমার পিছনের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে৷ ডাক্তার দেখাতে পারি না৷ তারপরও কাজ করতে হয়৷”
সাংবাদিক উদিসা ইসলামের ছেলে অহনের বয়স এখন পাঁচ বছর৷ স্কুলে ভর্তি হয়েছে৷ উদিসা একটি অনলাইন নিউজ পেপারের বিশেষ প্রতিনিধি৷ তার স্বামী একটি রবসরকারি টেলিভিশনে কাজ করেন৷ অহনের জন্মের সময় উদিসা চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করতেন৷ " অহন আমার সাথেই অফিসে বড় হয়েছে৷ আমি যখন অফিসে আসতাম, তাকে নিয়ে আসতাম৷ আমার অফিস তার জন্য সহায়ক হয়েছে৷ আমার সহকর্মীরা আমাকে সহায়তা করেছেন৷ যখন আমি প্রতিবেদনের কাজে বাইরে যেতাম, তখন আমার সহকর্মীরাই তাকে দেখতেন, খাওয়াতেন৷ কিন্তু অফিসে তো আর গোসল করানো যায় না৷ তাই রাতে ১০ টার দিকে বাসায় ফিরে তাকে গোসল করাতাম৷”
তার স্বামী এখন সপ্তাহে তিন দিন নাইট ডিউটি করেন৷ ওই তিন দিন তিনি দিনের বেলায় সন্তানকে সময় দেন৷ এখন উদিসা ছেলেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে স্কুল শেষ করিয়ে বাসায় রেখে তারপর অফিসে আসেন৷ রাতে গিয়ে তাকেই ঘরের কাজ করতে হয়৷
উদিসা বলেন, "এই বয়সেই আমার ছেলেটি পরিস্থিতি বোঝে৷ আমার কাজের সময় কোনো বায়না ধরে না৷ ও একটি সোফার উপরও ঘুমিয়ে থাকতে পারে৷ কারণ, সে ছোটবেলা থেকেই এভাবে বড় হয়েছে৷”
তার কথা, "আমার অফিস যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে৷ সব অফিসে তো আর সেটা হয় না৷ তাই সন্তানের জন্য চাকরি ছাড়তেও বাধ্য হন কেউ কেউ৷ আর মেটার্নিটি লিভ নিয়েও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঝামেলা করে৷”
শারমিনা নাসরিন যুগ্ম সচিব৷ ২০ বছর আগে বিসিএস অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন৷ তিনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেছেন৷ চাকরির শুরুতেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার পোস্টিং হয়৷ সেই সব জায়গায় তিনি সানন্দেই কাজ করেছেন৷ কাজ করেছেন পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়৷ চাকরিরত অবস্থায়ই জাপানে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন৷ তার কথা, "এসবই সম্ভব হয়েছে আমার অদম্য ইচ্ছা, যৌথ পরিবারের সহায়তা আর বিশেষ করে আমার স্বামীর সহযোগিতার কারণে৷”
তার দুই ছেলে৷ তারা এখন তার বাবার সঙ্গে দেশের বাইরে থাকেন, সেখানেই পড়াশুনা করে৷
শারমিনা জানান, "আমার বড় ছেলেটির যখন জন্ম হয়, তখন আমার ঢাকার বাইরে পোস্টিং ছিল৷ আমার স্বামী তখন ঢাকায় চাকরি করতেন৷ তিনি তখন আমার কাছে গিয়ে আমাকে সময় দিয়েছেন৷ আবার আমি চার-পাঁচ মাসের জন্য যখন ট্রেনিংয়ে গিয়েছি, তখন আমার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির সবাই, আমার শাশুড়ি বাচ্চাদের দেখাশুনা করেছেন৷ ”
"আমি জাপানে যখন উচ্চ শিক্ষা নিতে দুই বছরের জন্য যাই, তখন আমার বাচ্চার বয়স ছয় মাস৷ আমার পরিবারে সবাই আমাকে যেতে উৎসাহিত করেছেন৷ আমার মনে কিছুটা দ্বিধা ছিল৷ কিন্তু আমার শাশুড়িসহ পরিবারের সবার উৎসাহ আমাকে সাহস দিয়েছে৷ আমার কলিগরা কেউ কেউ বিষয়টি অন্যভাবে দেখলেও পরিবারে সবাই ছিলেন আমার সাথে,” বলেন তিনি৷
তার কথা, "আমার তখন মনে হয়েছিল আমি আমার সন্তানকে মায়ের সঙ্গ থেকে বঞ্চিত করছি কিনা৷ পরে ফিরে এসে দেখেছি বিষয়টা সেররকম নয়৷ তাদের দরকার যত্ন এবং সঠিক পরিচর্যা৷ সেটা তারা যৌথ পরিবারের কারণে পেয়েছে৷”
স্বামী-স্ত্রী দুইজনই ঢাকায় চাকরির সময় তাদের সন্তানকে ডে কেয়ার সেন্টারে রাখতে হয়েছিল৷ ওই সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ঢাকায় ছিলেন না৷ তখন তার স্বামীর চাকরির সুবাদে ইউনিসেফের ডে কেয়ার সেন্টারে সন্তানদের রাখতেন৷ শারমিনা বলেন," আমার মনে হয়, তখন ওরকম একটা ভালো ডে কেয়ার সেন্টার না পেলে আমাদের সমস্যা হতো৷”
তবে তিনি বলেন," আমার মতো সবার হয় না৷ সবাই পরিবারের সহায়তা পান না৷ তাই অনেকেই অনেক মেধাবী হওয়ার পরও চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন৷”
তার অভিমত, নিজের প্রবল ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে যদি পরিবারের সাপোর্ট এবং সামাজিক কাঠামো অনুকুল ও রাষ্ট্রের নীতি, পৃষ্ঠপোষকতা থাকে তাহলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে ভালো করবেন৷ আমি এই সাপোর্টগুলো পেয়েছি৷ কিন্তু সবাই সহায়তা পায় না৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াহ শিমুল বলেন," ডে কেয়ার সেন্টার, মেটার্নিটি লিভ, নিরাপত্তা, পরিবহণ- এগুলো রাষ্ট্রের নীতি ও বিনিয়োগের ব্যাপার৷ সেগুলো যত ভালো হবে, তা নারীর জন্য সহায়ক হবে৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পুরুষ, বিশেষ করে নারীর পাশের মানুষটির মনোভাবে পরিবর্তন৷”
তার কথা, "নারী যখন ক্ষমতায়িত হয়, তখন পুরুষ সেটা নিতে পারে না৷ নারী যখন বাইরে ক্ষমতায়িত হয়, সে যখন ঘরে যায়, তখনও তো সে ক্ষমতায়িত৷ কিন্তু পুরুষ মনে করে, সে ঘরের কাজ করবে৷ ঘরের কাজ নারীদের৷ এটাই আসল সমস্যা৷ একই সঙ্গে পুরুষ সহকর্মীরা তাদের উন্নতি সহজে মেনে নিতে পারে না৷ আবার আছে মজুরির বৈষম্য৷ তারপরও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন৷ এটাই হলো বাস্তবতা৷” ডয়চে ভেলে
সম্পাদক : মাহমুদ আনোয়ার হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক : জুবায়ের রহমান চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক : খালেকুজ্জামান পান্নু
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয় : বাড়ি # ৬৩, সড়ক # ২১,
রূপনগর আ/এ, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।
বাণিজ্যিক কার্যালয় : গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, ঢাকা-১২১২।
ফোন : 01731-488397,01552381515, 01751345643
হোয়াটসএ্যাপ : 01826567123
Copyright © 2024 সারাবেলার সংবাদ. All rights reserved.