ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে বন্দি আসামির পরিবারকে ফোন, অতঃপর…

পাবনা প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৪১ বার পঠিত

কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা কখনওবা পরিচয় দিতেন আইনজীবী হিসেবে। নিজেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত দিয়ে ফোন করতেন কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদের নিকট আত্বীয়-স্বজনদের কাছে। বিভিন্ন উপায়ে আসামি মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন চক্রের মুল হোতাকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড়ের আহাদ মোড় এলাকার আজহার সরকারের ছেলে মোঃ মামুন হোসেন (৩০), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো: ইমরান হোসেন (২৮)।

এহতেশামুল হক খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গনে উদ্ধেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে আসামিদের আত্মীয় স্বজনেরা অপক্ষো করেন। কেউ জামিনের জন্য আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের একনজর দেখার জন্য।

এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে এক ধরনের প্রতারক চক্র। কখনো জেল সুপার কখনো জেলা পুলিশ, কখনো বা উকিল পরিচয়ে আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা জেলাতে নানান কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতরণা করে আসছে। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হয়ে একজন র‌্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে মাঠে নামে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিমান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মোঃ মামুন ও তার সহযোগী ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত বিষয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে বন্দি আসামির পরিবারকে ফোন, অতঃপর…

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কখনো জেল সুপার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা কখনওবা পরিচয় দিতেন আইনজীবী হিসেবে। নিজেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত দিয়ে ফোন করতেন কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদের নিকট আত্বীয়-স্বজনদের কাছে। বিভিন্ন উপায়ে আসামি মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন চক্রের মুল হোতাকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড়ের আহাদ মোড় এলাকার আজহার সরকারের ছেলে মোঃ মামুন হোসেন (৩০), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো: ইমরান হোসেন (২৮)।

এহতেশামুল হক খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গনে উদ্ধেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে আসামিদের আত্মীয় স্বজনেরা অপক্ষো করেন। কেউ জামিনের জন্য আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের একনজর দেখার জন্য।

এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে এক ধরনের প্রতারক চক্র। কখনো জেল সুপার কখনো জেলা পুলিশ, কখনো বা উকিল পরিচয়ে আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা জেলাতে নানান কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতরণা করে আসছে। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হয়ে একজন র‌্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে মাঠে নামে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিমান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মোঃ মামুন ও তার সহযোগী ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত বিষয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Facebook Comments Box