ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধুর স্মরণে একক ম্যারাথন

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩ ৩০৫ বার পঠিত

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে একক ম্যারাথন (৪২.১৯৫ কিলোমিটার) করেছেন লেখক ও অভিযাত্রী গাজী মুনছুর আজিজ। সজল স্মরণে এটি তার ষষ্ঠ একক ম্যারাথন।

গত ২৭ আগস্ট কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে তিনি এ ম্যারাথন করেন। এর আগে সজল স্মরণে এ পথে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে একক ম্যারাথন করেছেন।

ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে লাবণী সৈকতের পর্যটন মোটেল লাবণী থেকে ম্যারাথন শুরু করেন আজিজ। এরপর কলাতলী হয়ে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর, হিমছড়ি, রেজুখাল ধরে ইনানি সৈকতের কাছে যান।

সেখান থেকে একই পথে আবার মোটেল লাবণীর সামনে এসে ৩টা ২৫ মিনিটে সম্পন্ন করেন ম্যারাথনের ৪২.১৯৫ কিলোমিটার পথ। পথের দূরত্ব ও সময়ের হিসাব ঠিক রাখতে তার সহায়ক ছিল স্মার্টওয়াচ এক্সটা অ্যাকটিভ এস১৮।

সজল খালেদের উদ্যোগে ও বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) আয়োজনে ২০০৭ সালের ১ জুলাই প্রথমবার মেরিন ড্রাইভে ‘বাংলা ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সজলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতার মাধমে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ও মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্যের কথা বিশ্বব্যাপী জানানো, দেশের পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ বাড়ানো এবং পরিবেশ সচেতনতা।

সে উদ্দেশেই ২০০৯ ও ২০১০ সালে সজলের উদ্যোগে ও এক্সট্রিমিস্টের আয়োজনে এ পথে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বারের ম্যারাথনেই গাজী মুনছুর আজিজ অংশ নেন ও সফলভাবে সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে এভারেস্ট জয় করে সজল। এভারেস্টের বুকেই অজানা কারণে হারিয়ে যান অনন্তকালের জন্য। এরপর মেরিন ড্রাইভে আর বাংলা ম্যারাথন হয়নি।

লেখক ও অভিযাত্রী গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য মেরিন ড্রাইভে ম্যারাথনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং পরিবেশ সচেতনতায় সৈকত ও সৈকতপাড়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষার তাগিদ দেওয়া। এছাড়া ম্যারাথনের মাধ্যমে মেরিন ড্রাইভকে সজল খালেদের নামে নামকরণের আহ্বান জানানো।’

সারাবেলার সংবাদ/ জেডআরসি/ ৩০ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধুর স্মরণে একক ম্যারাথন

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে একক ম্যারাথন (৪২.১৯৫ কিলোমিটার) করেছেন লেখক ও অভিযাত্রী গাজী মুনছুর আজিজ। সজল স্মরণে এটি তার ষষ্ঠ একক ম্যারাথন।

গত ২৭ আগস্ট কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে তিনি এ ম্যারাথন করেন। এর আগে সজল স্মরণে এ পথে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে একক ম্যারাথন করেছেন।

ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে লাবণী সৈকতের পর্যটন মোটেল লাবণী থেকে ম্যারাথন শুরু করেন আজিজ। এরপর কলাতলী হয়ে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর, হিমছড়ি, রেজুখাল ধরে ইনানি সৈকতের কাছে যান।

সেখান থেকে একই পথে আবার মোটেল লাবণীর সামনে এসে ৩টা ২৫ মিনিটে সম্পন্ন করেন ম্যারাথনের ৪২.১৯৫ কিলোমিটার পথ। পথের দূরত্ব ও সময়ের হিসাব ঠিক রাখতে তার সহায়ক ছিল স্মার্টওয়াচ এক্সটা অ্যাকটিভ এস১৮।

সজল খালেদের উদ্যোগে ও বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) আয়োজনে ২০০৭ সালের ১ জুলাই প্রথমবার মেরিন ড্রাইভে ‘বাংলা ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সজলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতার মাধমে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ও মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্যের কথা বিশ্বব্যাপী জানানো, দেশের পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ বাড়ানো এবং পরিবেশ সচেতনতা।

সে উদ্দেশেই ২০০৯ ও ২০১০ সালে সজলের উদ্যোগে ও এক্সট্রিমিস্টের আয়োজনে এ পথে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বারের ম্যারাথনেই গাজী মুনছুর আজিজ অংশ নেন ও সফলভাবে সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে এভারেস্ট জয় করে সজল। এভারেস্টের বুকেই অজানা কারণে হারিয়ে যান অনন্তকালের জন্য। এরপর মেরিন ড্রাইভে আর বাংলা ম্যারাথন হয়নি।

লেখক ও অভিযাত্রী গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য মেরিন ড্রাইভে ম্যারাথনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং পরিবেশ সচেতনতায় সৈকত ও সৈকতপাড়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষার তাগিদ দেওয়া। এছাড়া ম্যারাথনের মাধ্যমে মেরিন ড্রাইভকে সজল খালেদের নামে নামকরণের আহ্বান জানানো।’

সারাবেলার সংবাদ/ জেডআরসি/ ৩০ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box