ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

‘এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’ কর্মীদের মুল্যায়ন করা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশ নেওয়া-না নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদের বলতে চেয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা বহু আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে। তাদের মানা করি কী করে ? থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত ‍বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না থাকায় দলের একাধিক প্রার্থী ভোট করছে, আবার অনেক মন্ত্রী-এমপির পরিবার ভোট করছে; এসব বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা কী?-এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কজন ছেলে-মেয়ে, কজন স্ত্রীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’

বিরোধী দলগুলোর উপজেলা নির্বাচন বয়কট নিযে তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, উপযুক্ত ও যোগ্য নেতা নেই বলে তারা নির্বাচন বর্জন করে। দণ্ডিত আসামি, পলাতক আসামিকে নেতা হিসেবে জনগণের সামনে নিয়ে এলে তো জনগণ গ্রহণ করবে না। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

‘এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’ কর্মীদের মুল্যায়ন করা উচিত

আপডেট সময় : ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশ নেওয়া-না নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদের বলতে চেয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা বহু আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে। তাদের মানা করি কী করে ? থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত ‍বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না থাকায় দলের একাধিক প্রার্থী ভোট করছে, আবার অনেক মন্ত্রী-এমপির পরিবার ভোট করছে; এসব বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা কী?-এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কজন ছেলে-মেয়ে, কজন স্ত্রীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’

বিরোধী দলগুলোর উপজেলা নির্বাচন বয়কট নিযে তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, উপযুক্ত ও যোগ্য নেতা নেই বলে তারা নির্বাচন বর্জন করে। দণ্ডিত আসামি, পলাতক আসামিকে নেতা হিসেবে জনগণের সামনে নিয়ে এলে তো জনগণ গ্রহণ করবে না। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।

Facebook Comments Box