ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে এক শ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা সবসময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এর সুবিধা তারাই ভোগ করে।
রোববার (২ জুন) সকালে গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই, কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। সবার সাথে বন্ধুত্ব নিয়েই এগিয়ে চলছি।
‘কার সাথে কার ঝগড়া সেটি আমার দেখার দরকার নাই। দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের সাথে চলবে,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছে আর যেন এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুণে ধরা সমাজ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এই পরিবর্তনটা অনেকেই নিতে পারেনি। তৃণমূলের মানুষ ক্ষমতায়িত হবে, সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ অপশক্তি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শুধু ক্ষমতার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, একটি পরিবার বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে খুনিরা।
আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই ইতিহাস বিকৃতি মুরু হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান মুছে ফেলা হয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে বীরদের কথা বলতে ভয় পায়। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতেও ভয় পেতো।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈরী পরিবেশেও বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণ বাজিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে।
পৃথিবীর আর কোনো ভাষণ মানুষের মধ্যে এতোটা উদ্দীপনা তৈরি করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ শুনলে মনে হয়, অনেক কাজ এখনো বাকি আছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের ইতিহাস বিকৃতি করার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইতিহাস বিকৃতি মুছে গেছে। এখন দেশের সত্যি ইতিহাস সামনে এসেছে। সামনে এগোতে হলে জাতির ইতিহাস জানতে হবে।
কিন্তু দেশে কিছু মানুষ আছে, যারা কোনো কাজ করতে গেলেই সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব দেখায় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, আবার বাস্তবায়ন করলে তারা সেগুলো ব্যবহার করে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে এক শ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা সবসময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এর সুবিধা তারাই ভোগ করে।
রোববার (২ জুন) সকালে গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই, কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। সবার সাথে বন্ধুত্ব নিয়েই এগিয়ে চলছি।
‘কার সাথে কার ঝগড়া সেটি আমার দেখার দরকার নাই। দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের সাথে চলবে,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছে আর যেন এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুণে ধরা সমাজ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এই পরিবর্তনটা অনেকেই নিতে পারেনি। তৃণমূলের মানুষ ক্ষমতায়িত হবে, সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ অপশক্তি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শুধু ক্ষমতার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, একটি পরিবার বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে খুনিরা।
আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই ইতিহাস বিকৃতি মুরু হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান মুছে ফেলা হয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে বীরদের কথা বলতে ভয় পায়। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতেও ভয় পেতো।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈরী পরিবেশেও বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণ বাজিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে।
পৃথিবীর আর কোনো ভাষণ মানুষের মধ্যে এতোটা উদ্দীপনা তৈরি করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ শুনলে মনে হয়, অনেক কাজ এখনো বাকি আছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের ইতিহাস বিকৃতি করার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইতিহাস বিকৃতি মুছে গেছে। এখন দেশের সত্যি ইতিহাস সামনে এসেছে। সামনে এগোতে হলে জাতির ইতিহাস জানতে হবে।
কিন্তু দেশে কিছু মানুষ আছে, যারা কোনো কাজ করতে গেলেই সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব দেখায় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, আবার বাস্তবায়ন করলে তারা সেগুলো ব্যবহার করে।

Facebook Comments Box