ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ৪০ বার পঠিত

মাসখানেক আগে ইতালি থেকে দেশে এসে  ইতালিতে আর ফিরে যাওয়া হলো না তাদের! প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন। ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসাও হয়ে গিয়েছিল সবার। কিন্তু ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের! বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন মোবারক!

মোবারকের চাচাতো ভাই ফয়সাল জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনার করতে গিয়েছিলেন মোবারক। সঙ্গে ছিল স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ।

সৈয়দ মোবারক হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তাদের আর যাওয়া হলো না। ঢাকার মধুবাগে থাকতেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।’

তিনি জানান, তারা সবার মরদেহ শনাক্ত করেছেন। প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের!

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

মাসখানেক আগে ইতালি থেকে দেশে এসে  ইতালিতে আর ফিরে যাওয়া হলো না তাদের! প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন। ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসাও হয়ে গিয়েছিল সবার। কিন্তু ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের! বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন মোবারক!

মোবারকের চাচাতো ভাই ফয়সাল জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনার করতে গিয়েছিলেন মোবারক। সঙ্গে ছিল স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ।

সৈয়দ মোবারক হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তাদের আর যাওয়া হলো না। ঢাকার মধুবাগে থাকতেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।’

তিনি জানান, তারা সবার মরদেহ শনাক্ত করেছেন। প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য

Facebook Comments Box