ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

আঁখি আক্তার, মেঘনা
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১৬ বার পঠিত

সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ ২ জন

কুমিল্লার মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিজাম সরকার (৩৫) নামে এক সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।  সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নস্থ নলচর, ফরাজি কান্দি ও চালিভাঙ্গা এলাকার বাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত নিজাম উপজেলার ডাঙা গ্রামের আক্কাস মেম্বারের ছেলে ও বর্তমান চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এর ছোট ভাই। সে চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন, স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে , গত দুইদিন ধরেই আ’লীগের স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল ৯টার দিকে দু’গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ৷ এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে  টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নিজাম সরকার নিহত হয় ও অপর অন্তত ১৯জন আহত হয়।

জানিয়েছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চালিভঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে আছে। একাধিকবার মিমাংসা করা হলেও জেলা পরিষদের সদস্য কায়ুম গ্রুপ খুব বেশি তৎপর ছিলো। তারই নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে পেলেদের দিয়ে  হামলা চালিয়ে ১ জনকে হত্যা করে । এ সময় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

এ ব্যাপারে কায়ুমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুইদিন ধরেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল আমরা একটা মামলা দায়ের করেছি । আসামী গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। এরইমধ্যে আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হল। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ১৮ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুমিল্লার মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিজাম সরকার (৩৫) নামে এক সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।  সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নস্থ নলচর, ফরাজি কান্দি ও চালিভাঙ্গা এলাকার বাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত নিজাম উপজেলার ডাঙা গ্রামের আক্কাস মেম্বারের ছেলে ও বর্তমান চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এর ছোট ভাই। সে চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন, স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে , গত দুইদিন ধরেই আ’লীগের স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল ৯টার দিকে দু’গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ৷ এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে  টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নিজাম সরকার নিহত হয় ও অপর অন্তত ১৯জন আহত হয়।

জানিয়েছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চালিভঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে আছে। একাধিকবার মিমাংসা করা হলেও জেলা পরিষদের সদস্য কায়ুম গ্রুপ খুব বেশি তৎপর ছিলো। তারই নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে পেলেদের দিয়ে  হামলা চালিয়ে ১ জনকে হত্যা করে । এ সময় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

এ ব্যাপারে কায়ুমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুইদিন ধরেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল আমরা একটা মামলা দায়ের করেছি । আসামী গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। এরইমধ্যে আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হল। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ১৮ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box