ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইএমএফ-এর কাছে আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৯ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে আরো তিন বিলিয়ন ডলার পেতে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

গত বছর এই সংস্থাটি থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন অর্থাৎ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিন কিস্তির টাকা পাওয়া গেছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়নে সেপ্টেম্বরে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যমান ঋণের আওতায় অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক যে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে সেটি কাটিয়ে উঠতে এই ঋণের প্রয়োজন জানিয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, তারা অন্যান্য নানা উৎস থেকেও ঋণ চেয়েছেন।

যেমন: বিশ্বব্যাংকের কাছে ১৫০ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ১০০ কোটি এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে আরো ১০০ কোটি ডলার করে চাওয়া কথা জানান তিনি।

সেইসাথে বকেয়া ঋণ মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ডলার কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশের রিজার্ভ আগে থেকেই যেখানে চাপে ছিল সেখানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে প্রায় দুই দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার চুক্তি রয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

আইএমএফ-এর কাছে আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে সরকার

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে আরো তিন বিলিয়ন ডলার পেতে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

গত বছর এই সংস্থাটি থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন অর্থাৎ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিন কিস্তির টাকা পাওয়া গেছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়নে সেপ্টেম্বরে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যমান ঋণের আওতায় অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক যে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে সেটি কাটিয়ে উঠতে এই ঋণের প্রয়োজন জানিয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, তারা অন্যান্য নানা উৎস থেকেও ঋণ চেয়েছেন।

যেমন: বিশ্বব্যাংকের কাছে ১৫০ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ১০০ কোটি এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে আরো ১০০ কোটি ডলার করে চাওয়া কথা জানান তিনি।

সেইসাথে বকেয়া ঋণ মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ডলার কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশের রিজার্ভ আগে থেকেই যেখানে চাপে ছিল সেখানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে প্রায় দুই দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার চুক্তি রয়েছে।

Facebook Comments Box