এমডি পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই নীতি। তবে পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে এমডি থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ধরনের পরিদর্শনে কেনো নেতিবাচক রিপোর্ট থাকতে পারবে না।
এমডিদের এই সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের দায়িত্বও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এমডির পরিবারের কোনো সদস্য ওই ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর তাদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা কী হবে তা-ও বলা হয়েছে নীতিমালায়।
বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকের এমডি নিয়োগেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন," কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক খাতে সুশাসন আনার জন্য কিছু নীতিমালা করছে। এর আগে তারা পরিচালানা পর্ষদের গঠন কেমন হবে তা নিয়েও একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এখন এমডি নিয়োগের ব্যাপারে একটা নীতিমালা করলো। এমডি নিয়োগের নীতিমালাকে আমি ভালোই বলবো। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কমিটির মাধ্যমে তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার যে বিধান করেছে তাতে এখন থেকে আর লুকিয়ে লুকিয়ে এমডি নিয়োগ দেয়া যাবে না। এর আগে আমরা দেখেছি শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ আরো অনেক বিষয় গোপন রাখা হয়েছে এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে। ”
"আরেকটি বিষয় হলো, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এখন একই পরিবারের তিনজনসহ তাদের পাঁচজন পরিচালনা পর্যদে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ আছে। তিনজন একই পরিবারের আর দুইজন তাদের প্রতিষ্ঠানের। ফলে তারা পরিচালনা পর্ষদে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। পরিচালনা পর্ষদই ব্যাংকের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী,” বলেন তিনি।
তার কথা, "অনেক সময় একজন পরিচালকই তো অনেক কিছু করে ফেলেন তার প্রভাবের কারণে। সেখানে পাঁচ জন হলে তো কথাই নেই। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, "ব্যাংকের সুশাসনের বড় অন্তরায় হলো পরিচালনা পর্যদ। সেখানে আগে সংস্কার প্রয়োজন। এমডি নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোনের বিষয়টি ঠিক আছে। তারা পরীক্ষা নেবে, সেটা হলে তাদের সার্টিফিকেট, অভিজ্ঞতা এগুলো চেক করবে। তারা এমডিকে একটা কমফোর্ট জোনে রাখতে চায়। এই বিষয়গুলো ভালো। কিন্তু মূল সমস্যা তো পরিচালনা পর্যদে।”
তিনি মনে করেন, "আগে পরিচালনা পর্ষদের বিষয় ঠিক করতে হবে। সেটা না করে এগুলো খুব বেশি কাজে আসবে বলেন মনে হয় না। পরিচালনা পর্যদের কাছে তারা তো অসহায়। এমডিরা চাইলেও তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না।”
বাংলাদেশ ব্যাংক এমডিদের মেয়াদ তিন বছর করলেও অনেক ব্যাংকে পাঁচ বছর মেয়াদে এরই মধ্যে এমডি নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বা নিয়োগ রিভিউ করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, "যারা এখন এমডি হিসেবে নিযুক্ত আছেন, তাদের ব্যাপারে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে নতুন নিয়োগ এবং যখন নিয়োগ নবায়ন হবে, তখন নতুন নীতি কার্যকর হবে। নিয়োগ নবায়ন বা পুনর্নিয়োগ নতুন নিয়োগ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "পরিচালনা পর্যদে একই পরিবার ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পাঁচজন নিযুক্ত হওয়ার নিয়ম বহাল থাকলেও আমরা নিয়ম করে দিয়েছি কত অংশ শেয়ার থাকলে কতজন পরিচালক হতে পারবেন।”
তার কথা, "ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আমরা সংস্কার শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে।”
সম্পাদক : মাহমুদ আনোয়ার হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক : জুবায়ের রহমান চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক : খালেকুজ্জামান পান্নু
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয় : বাড়ি # ৬৩, সড়ক # ২১,
রূপনগর আ/এ, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।
বাণিজ্যিক কার্যালয় : গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, ঢাকা-১২১২।
ফোন : 01731-488397,01552381515, 01751345643
হোয়াটসএ্যাপ : 01826567123
Copyright © 2024 সারাবেলার সংবাদ. All rights reserved.