ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

অবরোধের প্রভাবে সৈয়দপুরে ফুলকপি ও পটল চাষিদের মাথায় হাত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ৯০ বার পঠিত

পটল ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষক

আবহাওয়া অনুকুলে আর ভালো পরিচর্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ফুলকপি ও পটলের বাম্পার ফলন হলেও অবরোধে রফতানি করতে না পারায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে এবারে প্রতিটি সবজির বাম্পার ফলন হলেও দফায় দফায় অবরোধের কারণে রফতানিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ফুলকপি ও পটলের দাম একেবারেই কমে গেছে। এরফলে উৎপাদন খরচও উঠবেনা বলে জানান কৃষকরা।
সৈয়দপুর উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর জানান,চলতি মৌসুমে ১৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষাবাদ হয়েছে। বানিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত হওয়ায় সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক আগাম চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবারে গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে পটল ও ফুলকপির চাষাবাদ করেন তারা। প্রায় প্রতিবছর বিষমুক্ত সবজি ঢাকা সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করলেও এবারে অবরোধের কারণে রফতানি করতে না পারায় লোকসানের কথা ভেবে সব কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি দুইবিঘা জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আর সেই কপি সৈয়দপুরে বিক্রি করেছেন মাত্র ২০ হাজার টাকায়।এতে খাটনি,সময় সহ ৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। একই কথা বলেন বাবলু নামের অপর এক কৃষক, তিনি জানান,৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করে খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা কিন্তু তা বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ৯০ হাজার টাকা। শুধু মাত্র দফায় দফায় অবরোধের কারণে সৈয়দপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি কৃষককে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।
বাংগালীপুর ইউনিয়ন এর কৃষক রবিউল জানান,এবারে মোট ৩ একর জমিতে পটলের চাষাবাদ করেছেন।শুরুর দিকে পটলের মুল্য পেলেও অবরোধের পর দরপতনের শুরু হয়। ৩ একর জমিতে পটলের চাষাবাদ করে, ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে ৩ লাখ টাকা আয় হওয়ার কথা থাকলেও অবরোধে সৈয়দপুরের বাইরে সরবরাহ করতে পারছিনা, এর ফলে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার ও পটল বিক্রি করতে পারি নাই। এভাবে লাগাতার অবরোধ চলতে থাকলে উপজেলার প্রতিটি কৃষকেরই মাথায় হাত পড়বে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করায় এবারে সবজির বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকরা।কিন্তু দফায় দফায় অবরোধের কারণে লোকসান গুনতে পারে তারা।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

অবরোধের প্রভাবে সৈয়দপুরে ফুলকপি ও পটল চাষিদের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ০৬:০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আবহাওয়া অনুকুলে আর ভালো পরিচর্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ফুলকপি ও পটলের বাম্পার ফলন হলেও অবরোধে রফতানি করতে না পারায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে এবারে প্রতিটি সবজির বাম্পার ফলন হলেও দফায় দফায় অবরোধের কারণে রফতানিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ফুলকপি ও পটলের দাম একেবারেই কমে গেছে। এরফলে উৎপাদন খরচও উঠবেনা বলে জানান কৃষকরা।
সৈয়দপুর উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর জানান,চলতি মৌসুমে ১৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষাবাদ হয়েছে। বানিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত হওয়ায় সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক আগাম চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবারে গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে পটল ও ফুলকপির চাষাবাদ করেন তারা। প্রায় প্রতিবছর বিষমুক্ত সবজি ঢাকা সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করলেও এবারে অবরোধের কারণে রফতানি করতে না পারায় লোকসানের কথা ভেবে সব কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি দুইবিঘা জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আর সেই কপি সৈয়দপুরে বিক্রি করেছেন মাত্র ২০ হাজার টাকায়।এতে খাটনি,সময় সহ ৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। একই কথা বলেন বাবলু নামের অপর এক কৃষক, তিনি জানান,৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করে খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা কিন্তু তা বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ৯০ হাজার টাকা। শুধু মাত্র দফায় দফায় অবরোধের কারণে সৈয়দপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি কৃষককে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।
বাংগালীপুর ইউনিয়ন এর কৃষক রবিউল জানান,এবারে মোট ৩ একর জমিতে পটলের চাষাবাদ করেছেন।শুরুর দিকে পটলের মুল্য পেলেও অবরোধের পর দরপতনের শুরু হয়। ৩ একর জমিতে পটলের চাষাবাদ করে, ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে ৩ লাখ টাকা আয় হওয়ার কথা থাকলেও অবরোধে সৈয়দপুরের বাইরে সরবরাহ করতে পারছিনা, এর ফলে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার ও পটল বিক্রি করতে পারি নাই। এভাবে লাগাতার অবরোধ চলতে থাকলে উপজেলার প্রতিটি কৃষকেরই মাথায় হাত পড়বে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করায় এবারে সবজির বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকরা।কিন্তু দফায় দফায় অবরোধের কারণে লোকসান গুনতে পারে তারা।
Facebook Comments Box