ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৩২ বার পঠিত

দেশে সরাসরি বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি ও আর্থিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ করতে অফশোর ব্যাংকিং সেবা আরো বিস্তৃতভাবে চালু করতে জাতীয় সংসদে আইনের খসড়া তোলা হয়েছে। শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ‘অফশোর ব্যাংকিং বিল-২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। খসড়া আইনে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অর্থ বাইরের উৎস এবং অনুমোদিত বিশেষায়িত অঞ্চলে পরিচালিত শতভাগ বিদেশি মালাকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত তহবিল দ্বারা এই আইনে বর্ণিত শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবাসী বা ক্ষেত্রমতো বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচালিত ব্যাংকিং কার্যক্রম। বিলে বলা হয়েছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোর শতভাগ বিদেশি মালাকিনাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বাইরের লেনদেন সেবা দিতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, অনিবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট আমানত ও ঋণ নিতে পারবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের অফশোর কার্যক্রমের জন্য পৃথক হিসাবপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে। অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট যেকোনও অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তক আমানতকারী বা বেদৈশিক ঋণদাতাদের প্রদেয় সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করমুক্ত থাকবে। আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাব যেকোনও প্রকাশ শুল্ক ও লেভি মুক্ত হবে বলেও বিলে বলা হয়। ১৯৮৫ সালে সীমিত পরিসরে দেশে অফশোর ব্যাংকিং শুরু হয়। মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েনসহ পাঁচ ধরনের বিদেশি মুদ্রায় অফশোর ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায়। আইন না থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং চালু রয়েছে। ২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর কয়েকটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

দেশে সরাসরি বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি ও আর্থিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ করতে অফশোর ব্যাংকিং সেবা আরো বিস্তৃতভাবে চালু করতে জাতীয় সংসদে আইনের খসড়া তোলা হয়েছে।

শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ‘অফশোর ব্যাংকিং বিল-২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

খসড়া আইনে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অর্থ বাইরের উৎস এবং অনুমোদিত বিশেষায়িত অঞ্চলে পরিচালিত শতভাগ বিদেশি মালাকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত তহবিল দ্বারা এই আইনে বর্ণিত শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবাসী বা ক্ষেত্রমতো বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচালিত ব্যাংকিং কার্যক্রম।

বিলে বলা হয়েছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোর শতভাগ বিদেশি মালাকিনাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারবে।

পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বাইরের লেনদেন সেবা দিতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, অনিবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট আমানত ও ঋণ নিতে পারবে।

খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের অফশোর কার্যক্রমের জন্য পৃথক হিসাবপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে।

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট যেকোনও অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তক আমানতকারী বা বেদৈশিক ঋণদাতাদের প্রদেয় সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করমুক্ত থাকবে। আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাব যেকোনও প্রকাশ শুল্ক ও লেভি মুক্ত হবে বলেও বিলে বলা হয়।

১৯৮৫ সালে সীমিত পরিসরে দেশে অফশোর ব্যাংকিং শুরু হয়। মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েনসহ পাঁচ ধরনের বিদেশি মুদ্রায় অফশোর ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায়।

আইন না থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং চালু রয়েছে। ২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর কয়েকটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

দেশে সরাসরি বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি ও আর্থিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ করতে অফশোর ব্যাংকিং সেবা আরো বিস্তৃতভাবে চালু করতে জাতীয় সংসদে আইনের খসড়া তোলা হয়েছে।

শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ‘অফশোর ব্যাংকিং বিল-২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

খসড়া আইনে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অর্থ বাইরের উৎস এবং অনুমোদিত বিশেষায়িত অঞ্চলে পরিচালিত শতভাগ বিদেশি মালাকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত তহবিল দ্বারা এই আইনে বর্ণিত শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবাসী বা ক্ষেত্রমতো বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচালিত ব্যাংকিং কার্যক্রম।

বিলে বলা হয়েছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোর শতভাগ বিদেশি মালাকিনাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারবে।

পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বাইরের লেনদেন সেবা দিতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, অনিবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট আমানত ও ঋণ নিতে পারবে।

খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের অফশোর কার্যক্রমের জন্য পৃথক হিসাবপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে।

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট যেকোনও অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তক আমানতকারী বা বেদৈশিক ঋণদাতাদের প্রদেয় সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করমুক্ত থাকবে। আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাব যেকোনও প্রকাশ শুল্ক ও লেভি মুক্ত হবে বলেও বিলে বলা হয়।

১৯৮৫ সালে সীমিত পরিসরে দেশে অফশোর ব্যাংকিং শুরু হয়। মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েনসহ পাঁচ ধরনের বিদেশি মুদ্রায় অফশোর ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায়।

আইন না থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং চালু রয়েছে। ২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর কয়েকটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

Facebook Comments Box