ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন Logo সোনারগাঁয়ে গাজাঁ ও ফেনসিডিলসহ আটক-৪ Logo স্বপ্ন পূরণ হলো না মৌলভীবাজারের লিটনের ! বেলারুশ সীমান্তে পিটিয়ে হত্যা তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: স্বপ্ন পূরণে ইচ্ছা ছিল জার্মানিতে গিয়ে উন্নত জীবনযাপনের মাধ্যমে স্বপ্নের বাস্তবতা হাসিল করার অদম্য সাহস ছিল লিটন চৌধুরীর। সেই দেশে যেতে বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিসহ কয়েকজন অভিবাসন-প্রত্যাশী পোল্যান্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। তাদের পুশব্যাক করা হয়। কিন্তু বেলারুশেও তারা ঢুকতে পারেননি। দুই দেশের সীমান্তে গভীর জঙ্গলে বহু কষ্টে দিন কাটছিল তাদের। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে স্বজনেরা জানতে পারেন, লিটনসহ ১৫ জন অভিবাসী পুলিশের পিটুনিতে মারা গেছেন। বেলারুশের একটি হাসপাতালের মর্গে তাদের লাশ রাখা হয়েছে। এ খবরে লিটনের পরিবারে মাতম শুরু হয়। লিটন চৌধুরী (৩৫) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদরের জাঙ্গিরাই এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত মোশারফ হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ ছেলে। তার মা, এক ভাই, স্ত্রী ও তিন শিশুসন্তান রয়েছে। লিটন এর আগে দুবাইয়ে থাকতেন। লিটনদের বাড়িতে, একটি কক্ষে তার মা ও স্ত্রী আহাজারি করছেন। স্বজনেরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, লিটনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে একটি কিন্ডারগার্টেনে পঞ্চম ও মেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর। লিটনের ছোট ভাই নোমান চৌধুরী ইতালিতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। বৈধ না হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, লিটনদের পরিবার অনেকটা সচ্ছল। দুবাইয়ের জীবন লিটনের ভালো লাগত না। ইউরোপে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। লিটনের স্ত্রীর বড় ভাই শাহিন আহমদ বলেন, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বছরখানেক আগে লিটন দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। মায়ের চিকিৎসা করান। মা সুস্থ হওয়ার কয়েক মাস পর দুবাইয়ে ফিরে যান। দুবাইয়ে গিয়ে রাশিয়ায় বসবাসকারী ম্যাক্স নামের এক দালালের মাধ্যমে জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য ম্যাক্স ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ম্যাক্সের বাড়ি নোয়াখালী। প্রকৃত নাম অন্য কিছু হলেও দুবাইয়ে ওই নামেই তিনি পরিচিত। শাহিন বলেন, সিলেটের বিয়ানীবাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক গাড়ি ব্যবসায়ী ম্যাক্সের আত্মীয়। নজরুলের কাছে তাঁরা টাকা জমা দেন। এ সময় একটি চুক্তিনামাও করা হয়। জার্মানিতে পাঠাতে না পারলে সব টাকা ফেরতের কথাও চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়। সেপ্টেম্বরে লিটন রাশিয়া হয়ে বেলারুশে যান। এরপর বেলারুশের সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে পৌঁছালে পুলিশ তাঁকেসহ আরও কয়েকজনকে ধরে ফেলে। তাদের সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। বেলারুশের পুলিশ তাঁদের ঢুকতে বাঁধা দেয়। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্তে জঙ্গলে তাঁরা দিন কাটান। শাহিন বলেন, সর্বশেষ ৭ই অক্টোবর লিটন তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান। ওই ভয়েস মেসেজে লিটন বলেন, তিনি জঙ্গলে খুব কষ্টে আছেন। খাবার নেই, পানি নেই। তাঁর একটি পা ভেঙে গেছে। লিটন ম্যাক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে বলেন। পরে তিনি (শাহিন আহমেদ) ম্যাক্সের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু আশ্বাস দিতে থাকেন। কিছুদিন পর লিটনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। লিটনের খোঁজ না পাওয়ায় চিন্তিত ছিল তার পরিবার। এই বিষয়ে শাহিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লিটনের খোঁজখবর না পাওয়ায় তারা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাতে থাকেন। সম্প্রতি তারা বেলারুশ সীমান্তের একটি ভিডিও পান। ভিডিওটি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, সীমান্তে ১৫ জন অভিবাসীকে পোল্যান্ড পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর মধ্যে চেহারা, পরনের টি-শার্ট ও প্যান্ট দেখে তারা লিটনের লাশ শনাক্ত করেন। কিন্তু তাতেও তাঁরা পুরোপুরি নিশ্চিত হননি। শাহিন বলেন, বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে বেলারুশে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন। ওই চিকিৎসক বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প ও হাসপাতালে খোঁজ নেন। একপর্যায়ে একটি হাসপাতালের মর্গে লিটনের লাশ পান। সোমবার রাত আটটার দিকে চিকিৎসক লিটনের লাশের ছবি তাদের কাছে পাঠান। এতে তাঁরা নিশ্চিত হন লিটন মারা গেছেন। শাহিন বলেন, লিটনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ম্যাক্স ও নজরুলের সঙ্গে কথা বলেন। লাশ ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তাদের সহায়তা চান। কিন্তু তারা কোনো সহায়তা করেননি। ম্যাক্সের আসল পরিচয় উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তারা ম্যাক্স ও নজরুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেবেন। শাহিন বলেন, লিটনের লাশ দেশে আনা হবে কি না, সে বিষয়ে তাঁরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া সার্কেলের (কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান গনমাধ্যমে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। Logo সৌদিতে ফ্যাশন শো নিয়ে ইসলামী পণ্ডিতদের ক্ষোভের যত কারণ Logo প্রতারণার অভিযোগে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে মামলা Logo ট্রাইব্যুনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হলো Logo ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার Logo পাবনার আমিনপুরে ইজিবাইক-মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ Logo সেনাকুঞ্জে যাবেন খালেদা জিয়া

উচ্চশিক্ষা অর্জনে বড় বাঁধা দরিদ্র্যতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩ ৫৫ বার পঠিত

ওদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বড় বাঁধা দারিদ্র্যতা

রংপুরঃ গরীব ঘরে জন্ম ওদের। সুখের দেখা জুটেনি ভাগ্যে। এক বেলা খাবার জুটলে আরেক বেলা খাবার চিন্তা তাদের তারা করে বেড়ায়। তবুও নানা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ওদের চোখে মুখে। ওরা যেন গোবরে পদ্ম ফুল । এদের কারো বাবা মসজিদের মুয়াজ্জিন ,কেউ দরিদ্র কৃষক, কারো বাবা দিন মজুর, কারো বাবা নাইট গার্ড।

তাদের সন্তানরা এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও উচ্চ শিক্ষা কিভাবে গ্রহন করবে, সে চিন্তা ওদের সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারবে কী না এ চিন্তায় শঙ্কিত তারা। সমাজের বিত্তবানদের একটু সহানুভুতি পেলে কাউনিয়ার ৫ অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরন হবে।

মেহেদী হাসান মিঠুনঃ দরিদ্র ঘরে জন্ম মেহেদী হাসান মিঠুনের । নতুন বই কিনে পড়ালেখা করতে পারেনি সে। দরিদ্রতা আর নানা প্রতিকুলতার সাথে যুদ্ধ করে বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। উপজেলার সোনাতন গ্রামের বাসিন্দা কেজি স্কুলের পিয়ন গোলাম রব্বানী ও গৃহিনী মোছাঃ মেহেরুন নেছার পুত্র সে।

বাড়ি ভিটা ছাড়া আর কোন জমি- জমা নেই তাদের। মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতন পাওয়া বাবার সামান্য চাকুরির টাকায় কোন রকমে চলে সংসার। ছেলের অনেক স্বপ্ন লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরুণে অর্থের যোগান হবে কি ভাবে ?

আর্থিক সহযোগিতা না পেলে মেহেদীর শিক্ষার প্রদীপও নিভে যেতে পারে। তার স্বপ্ন পূরনে এখন বড় বাঁধা দারিদ্রতা। এ বাঁধা ডিঙ্গিয়ে সেই স্বপ্ন পূরন হবে কিনা সে চিন্তাই এখন সারাক্ষণ মেহেদী কে তাড়া করে বেড়ায় ।

ফারজানা আক্তারঃ কাউনিয়া উপজেলার বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপি এ-৫ পেয়েছে ফারাজানা আক্তার । সে উপজেলার নাজিরদহ জামতলা গ্রামের দরিদ্র পিলার কোম্পানির শ্রমিক ফকরুল ইসলাম ও গৃহিনী ছাইফুন নাহার এর কন্যা ।

চরম অর্থ সংকটের মাঝেও এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। দরিদ্রতার সাথে লড়াই করে এসএসসি পাস করলেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহন নিয়ে এখন দুচিন্তায় পড়েছে ফারজানা আক্তার । তার শিক্ষার খরচ জুটবে কিভাবে এ চিন্তায় বিভোর তার দরিদ্র শ্রমিক পিতা ।

তারা চার বোন । এতো দিন পড়াশুনার খরচ চালিয়েছে বিভিন্ন কারুকাজ খচিত টুপি সেলাই করে । মাত্র আড়াই শতাংশ জমিতে বাড়ি ভিটা তাদের। আর কোন জমিজিরাত নেই। দারিদ্র্যতা কে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সে।

মা ছাইফুন নাহার মেয়ের সাফল্যে খুশি হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। মেয়ে চায় ডাক্তার হতে, কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কিভাবে তা সম্ভব। সংসারে একজন মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল তাদের সংসার। তিনি মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আনন্দ কুমার রায়ঃ দারিদ্রতা ও অর্থ সংকট দমিয়ে রাখতে পারেনি কাউনিয়া উপজেলার তালুকশাহবাজ গ্রামের দরিদ্র কৃষক রবীন্দ্রনাথ নাথ বর্মনের পুত্র কে। চরম অর্থ সংকটেও আনন্দ কুমার এবার এসএসসি পরীক্ষায় কাউনিয়ার টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে এসএসসি পাস করলেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহন নিয়ে এখন দুঃচিন্তায় পড়েছে আনন্দ কুমার। মা প্রজাপতি রানী জানায় বাড়ী ভিটা ছাড়া কোন জমি জিরাত নেই তাদের রাক্ষসী তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ওরা ২ ভাই পড়ালেখা করে। অভাবের মাঝেও সব প্রতিবন্ধকতাকে পদদলিত করে ভালো কলেজে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আনন্দ কুমার ।

ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও পিতা রবীন্দ্রনাথ বর্মন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন। ছেলে চায় ইঞ্জিনিয়ার হতে, কিন্তু দরিদ্র পিতা- মাতার পক্ষে কিভাবে তা সম্ভব। তিনি ছেলের জন্য সকলের কাছে আর্শিবাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল-আমিনঃ উপজেলার রাজীব গ্রামের মুয়াজ্জিন পিতা জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র আল-আমিন প্রমান করছে ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব সম্ভব। সে টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস এস সি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৫ শতাংশ জমিতে নিজস্ব বসতভিটা ছাড়া আর কোন জমিজিরাত নেই তাদের। আল-আমিন জানায় তার ছোট ২ ভাই মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট ভাই আদিল মাহমুদ দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। পিতার সামান্য আয় দিয়ে ৩ ভাইয়ের পড়ালেখা ও ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ ও ৫ জনের সংসার চলে কোন রকমে।

তাই আমার উচ্চ শিক্ষার খরচ যোগান দেয়া আমার বাবার পক্ষে অসম্ভব। তাই অভাবের সংসারে অর্থ জোগান ও পড়ালেখার খরচ জোগাতে সে প্রাইভেট পড়িয়ে এ পর্যন্ত এসেছে । মা আদরী খাতুন জানায়, তার ছেলের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু দরিদ্র মুয়াজ্জিন পিতার পক্ষে ছেলের স্বপ্ন পুরুণ হবে কীভাবে।

জাহিদুল ইসলাম জামিলঃ পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় থাকলে যে সাফল্যের চরম শিখরে পৌছা যায় তার প্রমান রেখেছেন উপজেলার রাজিব গ্রামের আনসার ভিডিপির সদস্য ( নাইট গার্ড) রাসেদুল ইসলামের পুত্র জাহিদুল ইসলাম জামিল ।

সে টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ -৫ পেয়েছে। তারা ২ ভাই । জাহিদুল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, কিন্তু টানাটানির সংসারে ছেলের আশা পূরণ করা কী সম্ভব। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরুণ হতে পারে জাহিদুল ইসলাম জামিলের

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ২৯ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

স্বপ্ন পূরণ হলো না মৌলভীবাজারের লিটনের ! বেলারুশ সীমান্তে পিটিয়ে হত্যা তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: স্বপ্ন পূরণে ইচ্ছা ছিল জার্মানিতে গিয়ে উন্নত জীবনযাপনের মাধ্যমে স্বপ্নের বাস্তবতা হাসিল করার অদম্য সাহস ছিল লিটন চৌধুরীর। সেই দেশে যেতে বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিসহ কয়েকজন অভিবাসন-প্রত্যাশী পোল্যান্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। তাদের পুশব্যাক করা হয়। কিন্তু বেলারুশেও তারা ঢুকতে পারেননি। দুই দেশের সীমান্তে গভীর জঙ্গলে বহু কষ্টে দিন কাটছিল তাদের। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে স্বজনেরা জানতে পারেন, লিটনসহ ১৫ জন অভিবাসী পুলিশের পিটুনিতে মারা গেছেন। বেলারুশের একটি হাসপাতালের মর্গে তাদের লাশ রাখা হয়েছে। এ খবরে লিটনের পরিবারে মাতম শুরু হয়। লিটন চৌধুরী (৩৫) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদরের জাঙ্গিরাই এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত মোশারফ হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ ছেলে। তার মা, এক ভাই, স্ত্রী ও তিন শিশুসন্তান রয়েছে। লিটন এর আগে দুবাইয়ে থাকতেন। লিটনদের বাড়িতে, একটি কক্ষে তার মা ও স্ত্রী আহাজারি করছেন। স্বজনেরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, লিটনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে একটি কিন্ডারগার্টেনে পঞ্চম ও মেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর। লিটনের ছোট ভাই নোমান চৌধুরী ইতালিতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। বৈধ না হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, লিটনদের পরিবার অনেকটা সচ্ছল। দুবাইয়ের জীবন লিটনের ভালো লাগত না। ইউরোপে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। লিটনের স্ত্রীর বড় ভাই শাহিন আহমদ বলেন, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বছরখানেক আগে লিটন দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। মায়ের চিকিৎসা করান। মা সুস্থ হওয়ার কয়েক মাস পর দুবাইয়ে ফিরে যান। দুবাইয়ে গিয়ে রাশিয়ায় বসবাসকারী ম্যাক্স নামের এক দালালের মাধ্যমে জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য ম্যাক্স ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ম্যাক্সের বাড়ি নোয়াখালী। প্রকৃত নাম অন্য কিছু হলেও দুবাইয়ে ওই নামেই তিনি পরিচিত। শাহিন বলেন, সিলেটের বিয়ানীবাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক গাড়ি ব্যবসায়ী ম্যাক্সের আত্মীয়। নজরুলের কাছে তাঁরা টাকা জমা দেন। এ সময় একটি চুক্তিনামাও করা হয়। জার্মানিতে পাঠাতে না পারলে সব টাকা ফেরতের কথাও চুক্তিনামায় উল্লেখ করা হয়। সেপ্টেম্বরে লিটন রাশিয়া হয়ে বেলারুশে যান। এরপর বেলারুশের সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে পৌঁছালে পুলিশ তাঁকেসহ আরও কয়েকজনকে ধরে ফেলে। তাদের সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। বেলারুশের পুলিশ তাঁদের ঢুকতে বাঁধা দেয়। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্তে জঙ্গলে তাঁরা দিন কাটান। শাহিন বলেন, সর্বশেষ ৭ই অক্টোবর লিটন তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান। ওই ভয়েস মেসেজে লিটন বলেন, তিনি জঙ্গলে খুব কষ্টে আছেন। খাবার নেই, পানি নেই। তাঁর একটি পা ভেঙে গেছে। লিটন ম্যাক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে বলেন। পরে তিনি (শাহিন আহমেদ) ম্যাক্সের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু আশ্বাস দিতে থাকেন। কিছুদিন পর লিটনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। লিটনের খোঁজ না পাওয়ায় চিন্তিত ছিল তার পরিবার। এই বিষয়ে শাহিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লিটনের খোঁজখবর না পাওয়ায় তারা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাতে থাকেন। সম্প্রতি তারা বেলারুশ সীমান্তের একটি ভিডিও পান। ভিডিওটি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, সীমান্তে ১৫ জন অভিবাসীকে পোল্যান্ড পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর মধ্যে চেহারা, পরনের টি-শার্ট ও প্যান্ট দেখে তারা লিটনের লাশ শনাক্ত করেন। কিন্তু তাতেও তাঁরা পুরোপুরি নিশ্চিত হননি। শাহিন বলেন, বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে বেলারুশে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন। ওই চিকিৎসক বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প ও হাসপাতালে খোঁজ নেন। একপর্যায়ে একটি হাসপাতালের মর্গে লিটনের লাশ পান। সোমবার রাত আটটার দিকে চিকিৎসক লিটনের লাশের ছবি তাদের কাছে পাঠান। এতে তাঁরা নিশ্চিত হন লিটন মারা গেছেন। শাহিন বলেন, লিটনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ম্যাক্স ও নজরুলের সঙ্গে কথা বলেন। লাশ ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তাদের সহায়তা চান। কিন্তু তারা কোনো সহায়তা করেননি। ম্যাক্সের আসল পরিচয় উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তারা ম্যাক্স ও নজরুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেবেন। শাহিন বলেন, লিটনের লাশ দেশে আনা হবে কি না, সে বিষয়ে তাঁরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া সার্কেলের (কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান গনমাধ্যমে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উচ্চশিক্ষা অর্জনে বড় বাঁধা দরিদ্র্যতা

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

রংপুরঃ গরীব ঘরে জন্ম ওদের। সুখের দেখা জুটেনি ভাগ্যে। এক বেলা খাবার জুটলে আরেক বেলা খাবার চিন্তা তাদের তারা করে বেড়ায়। তবুও নানা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ওদের চোখে মুখে। ওরা যেন গোবরে পদ্ম ফুল । এদের কারো বাবা মসজিদের মুয়াজ্জিন ,কেউ দরিদ্র কৃষক, কারো বাবা দিন মজুর, কারো বাবা নাইট গার্ড।

তাদের সন্তানরা এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও উচ্চ শিক্ষা কিভাবে গ্রহন করবে, সে চিন্তা ওদের সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারবে কী না এ চিন্তায় শঙ্কিত তারা। সমাজের বিত্তবানদের একটু সহানুভুতি পেলে কাউনিয়ার ৫ অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরন হবে।

মেহেদী হাসান মিঠুনঃ দরিদ্র ঘরে জন্ম মেহেদী হাসান মিঠুনের । নতুন বই কিনে পড়ালেখা করতে পারেনি সে। দরিদ্রতা আর নানা প্রতিকুলতার সাথে যুদ্ধ করে বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। উপজেলার সোনাতন গ্রামের বাসিন্দা কেজি স্কুলের পিয়ন গোলাম রব্বানী ও গৃহিনী মোছাঃ মেহেরুন নেছার পুত্র সে।

বাড়ি ভিটা ছাড়া আর কোন জমি- জমা নেই তাদের। মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতন পাওয়া বাবার সামান্য চাকুরির টাকায় কোন রকমে চলে সংসার। ছেলের অনেক স্বপ্ন লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরুণে অর্থের যোগান হবে কি ভাবে ?

আর্থিক সহযোগিতা না পেলে মেহেদীর শিক্ষার প্রদীপও নিভে যেতে পারে। তার স্বপ্ন পূরনে এখন বড় বাঁধা দারিদ্রতা। এ বাঁধা ডিঙ্গিয়ে সেই স্বপ্ন পূরন হবে কিনা সে চিন্তাই এখন সারাক্ষণ মেহেদী কে তাড়া করে বেড়ায় ।

ফারজানা আক্তারঃ কাউনিয়া উপজেলার বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপি এ-৫ পেয়েছে ফারাজানা আক্তার । সে উপজেলার নাজিরদহ জামতলা গ্রামের দরিদ্র পিলার কোম্পানির শ্রমিক ফকরুল ইসলাম ও গৃহিনী ছাইফুন নাহার এর কন্যা ।

চরম অর্থ সংকটের মাঝেও এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। দরিদ্রতার সাথে লড়াই করে এসএসসি পাস করলেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহন নিয়ে এখন দুচিন্তায় পড়েছে ফারজানা আক্তার । তার শিক্ষার খরচ জুটবে কিভাবে এ চিন্তায় বিভোর তার দরিদ্র শ্রমিক পিতা ।

তারা চার বোন । এতো দিন পড়াশুনার খরচ চালিয়েছে বিভিন্ন কারুকাজ খচিত টুপি সেলাই করে । মাত্র আড়াই শতাংশ জমিতে বাড়ি ভিটা তাদের। আর কোন জমিজিরাত নেই। দারিদ্র্যতা কে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সে।

মা ছাইফুন নাহার মেয়ের সাফল্যে খুশি হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। মেয়ে চায় ডাক্তার হতে, কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কিভাবে তা সম্ভব। সংসারে একজন মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল তাদের সংসার। তিনি মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আনন্দ কুমার রায়ঃ দারিদ্রতা ও অর্থ সংকট দমিয়ে রাখতে পারেনি কাউনিয়া উপজেলার তালুকশাহবাজ গ্রামের দরিদ্র কৃষক রবীন্দ্রনাথ নাথ বর্মনের পুত্র কে। চরম অর্থ সংকটেও আনন্দ কুমার এবার এসএসসি পরীক্ষায় কাউনিয়ার টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে এসএসসি পাস করলেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহন নিয়ে এখন দুঃচিন্তায় পড়েছে আনন্দ কুমার। মা প্রজাপতি রানী জানায় বাড়ী ভিটা ছাড়া কোন জমি জিরাত নেই তাদের রাক্ষসী তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ওরা ২ ভাই পড়ালেখা করে। অভাবের মাঝেও সব প্রতিবন্ধকতাকে পদদলিত করে ভালো কলেজে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আনন্দ কুমার ।

ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও পিতা রবীন্দ্রনাথ বর্মন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন। ছেলে চায় ইঞ্জিনিয়ার হতে, কিন্তু দরিদ্র পিতা- মাতার পক্ষে কিভাবে তা সম্ভব। তিনি ছেলের জন্য সকলের কাছে আর্শিবাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল-আমিনঃ উপজেলার রাজীব গ্রামের মুয়াজ্জিন পিতা জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র আল-আমিন প্রমান করছে ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব সম্ভব। সে টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস এস সি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

৫ শতাংশ জমিতে নিজস্ব বসতভিটা ছাড়া আর কোন জমিজিরাত নেই তাদের। আল-আমিন জানায় তার ছোট ২ ভাই মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট ভাই আদিল মাহমুদ দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। পিতার সামান্য আয় দিয়ে ৩ ভাইয়ের পড়ালেখা ও ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ ও ৫ জনের সংসার চলে কোন রকমে।

তাই আমার উচ্চ শিক্ষার খরচ যোগান দেয়া আমার বাবার পক্ষে অসম্ভব। তাই অভাবের সংসারে অর্থ জোগান ও পড়ালেখার খরচ জোগাতে সে প্রাইভেট পড়িয়ে এ পর্যন্ত এসেছে । মা আদরী খাতুন জানায়, তার ছেলের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু দরিদ্র মুয়াজ্জিন পিতার পক্ষে ছেলের স্বপ্ন পুরুণ হবে কীভাবে।

জাহিদুল ইসলাম জামিলঃ পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় থাকলে যে সাফল্যের চরম শিখরে পৌছা যায় তার প্রমান রেখেছেন উপজেলার রাজিব গ্রামের আনসার ভিডিপির সদস্য ( নাইট গার্ড) রাসেদুল ইসলামের পুত্র জাহিদুল ইসলাম জামিল ।

সে টেপামধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ -৫ পেয়েছে। তারা ২ ভাই । জাহিদুল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, কিন্তু টানাটানির সংসারে ছেলের আশা পূরণ করা কী সম্ভব। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরুণ হতে পারে জাহিদুল ইসলাম জামিলের

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ২৯ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box